হাতির অভয়ারণ্য গড়ে তোলা হচ্ছে শেরপুরে
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:২৪ এএম, ১১ মার্চ ২০২২ শুক্রবার
ফাইল ছবি
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী গারো পাহাড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে বন্য হাতির অভয়ারণ্য।
এজন্য পাহাড়ি এলাকায় অভয়ারণ্যের জায়গা নির্ধারণ এবং তার মালিকানা চিহ্নিতকরণসহ অন্যান্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বন বিভাগ। পাশাপাশি বন বিভাগ থেকে জবর দখলে থাকা বনভূমিও উদ্ধারে চলছে কার্যক্রম।
জানাগেছে,হাতি ও মানুষের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব নিরসনে সুরাহ হচ্ছে। তারই আওতায় এবার ওই দ্বন্দ্ব নিরসনে গারো পাহাড়েই গড়ে তোলা হচ্ছে বন্য হাতির অভয়ারণ্য।
শেরপুর সদরসহ ৫টি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ জেলার ৩টি উপজেলাই অর্থাৎ শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী ভারতের মেঘালয় রাজ্যঘেঁষা এবং উপজেলাগুলোর বিশাল এলাকাজুড়ে অবস্থিত গারো পাহাড়। এক সময় এই বনাঞ্চলে অবাধে ঘুরে বেড়াতো বন্যহাতির দল। কিন্তু সীমান্তের ওইসব পাহাড়ি এলাকায় মানুষ দিনদিন বসতি গড়ে তোলায় ক্রমেই বন্ধ হয়ে যায় হাতির চলাচল। এতে প্রতি বছরই সীমান্তের ওপার থেকে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসছে হাতির দল। আর তখনই শুরু হচ্ছে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব।
হাতির অভয়ারণ্য গড়ে তোলার বিষয়ে শ্রীবরদীর বালিজুড়ি রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, বালিজুড়ি, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী পর্যন্ত হাতির জন্য অভয়ারণ্য হবে। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বন বিভাগ থেকে জমি নির্ধারণ ও মালিকানা চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধভাবে জবর দখলে থাকা জমিগুলোও উদ্ধার শুরু করা হচ্ছে।
তিনি বলেন,গারো পাহাড়ের যে একটা ঐতিহ্য তা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ফিরে আসবে। হাতির জন্য অভয়ারণ্য হলে কৃষকদের ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না। পাশাপাশি বাড়ি-ঘরে হামলা করবে না হাতির দল।
ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান এসএমএ ওয়ারেজ নাইম বলেন, হাতির অভয়ারণ্য করার জন্য দীর্ঘদিনের দাবী ছিল, তা বর্তমান সরকারের উদ্যোগে আজ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
শেরপুর নাগরিক আন্দলন জন উদ্যোগের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে গারো পাহাড়ে অভয়ারণ্য গড়ে তোলার জন্য দাবি করে এসেছি, অবশেষে সীমান্তে অভয়ারণ্য করার ঘোষণা এসেছে। এতে আমরা খুব খুশি। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে তা বাস্তবায়িত হবে।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদৃ বলেন, গারো পাহাড়ে অভয়ারণ্য তৈরির প্রস্তাবটি পাস হয়ে বন বিভাগে রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি, অভয়ারণ্য গড়ে তোলার পর হাতি-মানুষের দীর্ঘদিনের চলমান সংঘাত নিরসন হবে।