মাগুরায় গমের ভালো ফলনের আশা
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৯:৪৭ এএম, ১৩ মার্চ ২০২২ রবিবার
ফাইল ছবি
মাগুরা জেলায় চলতি মৌসুমে কৃষকরা গমের ভালো ফলনের আশা করছেন। বিশেষ করে উচ্চ ফলণশীল গম চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।
চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের আওতাধীন বাংলাদেশ গম গবেষণা ইনস্টিটিউট(বারি) উদ্ভাবিত গমের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের গম চাষ কৃষকরা। কিন্তু ঘুর্নিঝড় জাওয়াদের কারনে জেলায় গম চাষ কিছুটা বিঘ্নিত হলেও এ বছর ২ হাজার ৮৪৫ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে। মাঠে যে গম রয়েছে তার থেকে ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট চাষ হওয়া গমের মধ্য সদর উপজেলায় ১ হাজর ৩৯৫ হেক্টর, শ্রীপুরে ১৫০ হেক্টর, শালিখায় ১৪০ হেক্টর এবং মহম্মদপুর উপজেলায় ১ হাজার ১৬০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। চাষকৃত জমি থেকে ৯ হাজার ৩৮৮ টন গম উৎপাদনের সম্ভব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, এ মৌসুমে ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ও তাপ সহনশীল বারি গম-৩০,৩২ ও ৩৩ নামের উচ্চফলনশীল জাতের গম চাষ হয়েছে। এর পাশাপাশি বারি জাতের উচ্চফলশীল গমের আবাদ ছাড়াও বিভিন্ন জাতের গমের পাশাপাশি স্থানীয় জাতের গম চাষ হয়েছে। বিশেষ করে গম চাষের সময় রোগ বালাইয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য গমের বীজ শোধন করে নেয়ার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়ায় বীজ বাহিতো রোগের সংখ্যা অনেকাংশেই কমেছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকরা সময় মত গম ক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক নাশক ওষুধ স্প্রে করার রোগ বালাই দেখা দেয়নি। এ কারনে চাষকৃত জমিতে গমের আবাদ ভালো হয়েছে।
মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার গোপালপুর এলাকার চন্দ্রপাড়া গ্রামের কৃষক মোশারফ হোসেন জানান, তিনি ৩৩ শতক জমিতে কৃষি বিভাগের সহায়তায় উচ্চ ফলনশীল বারি গম-৩২ জাতের প্রদর্শনী প্লট করেছেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ক্ষেত পরিচর্যা করায় গম ভালো হয়েছে। চাষকৃত জমি থেকে প্রায় ১৮ মন গম পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।
একই উপজেলার হোগোলডাঙ্গা গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান-চলতি মৌসুমে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় তিনিও ৩৩ শতক জমিতে উচ্চফলনশীল বারি গম-৩২ চাষ করেছেন। মাঠে ফসলের অবস্থা ভাল। চাষকৃত জমিতে ১৫ থেকে ১৮ মন গম পাওয়ার আশা করছেন তিনি।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ বলেন, জেলার চার উপজেলায় উচ্চ ফলনশীল গম চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। চাষকৃত জমিতে চলতি মৌসুমে গমে রোগবালাই তেমন হয়নি। মাঠে ফসলের অবস্থাও মোটামুটি ভালো।