ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬, নভেম্বর ২০২৪ ২৩:৩৩:০২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বিশ্বাস করো বিচারটা নিজেদেরই করা লাগবে : পরীমণি

বিনোদন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:১০ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২২ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সম্প্রতি রাজধানীর শনির আখড়া থেকে কল্যাণপুর যাওয়ার সময় বাসে যৌন হয়রানির শিকার হন কলেজছাত্রী কাজী জেবুননেসা কামাল নেহা। এ সময় ভুক্তভোগীর সঙ্গে ছিলেন তার মা হালিমা খাতুন। বাসে উপস্থিত কারও সাহায্য না পেয়ে অভিযুক্তকে নিজেই নাস্তানাবুদ করেন নেহা। ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আলোড়ন তুলেছিলো।

নারী ক্ষমতায়নের যুগে নারীদের এহেন আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে এবার মুখ খুলেছেন ঢাকাই সিনেমার প্রতিবাদী অভিনেত্রী পরীমণি। তিনি বলেছেন, 'বিশ্বাস করো এই বিচারটা সবসময় নগদে নিজেদেরই করা লাগবে। বাকিরা সব এমন নিরব ভূমিকায় থাকে আজীবন!'

দেশের প্রতিটি নারীর প্রতি নায়িকার আহ্বান, 'মেয়েরা শক্তিশালী হও।'

গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান আঁচল ফাউন্ডেশনের গবেষণায় উঠে এসেছে- দেশে মোট তরুণীদের মধ্যে ৬৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এছাড়া ৪৫ দশমিক ২৭ শতাংশ তরুণী গণপরিবহনে, ৮৪ দশমিক ১০ শতাংশ বাস বা বাসস্ট্যান্ডে এবং বিভিন্ন জায়গায় ইভটিজিংয়ের শিকার হন ২২ দশমিক ২৬ শতাংশ তরুণী।

সারা দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগের ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সি এক হাজার ১৪ জন শিক্ষিত তরুণীদের ওপর এই জরিপ করে সংগঠনটি। জরিপে অংশগ্রহণকারী তরুণীদের ভেতর অবিবাহিত ৮৮ দশমিক ১৭ শতাংশ ও বিবাহিতের সংখ্যা ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং বাকিরা আর সংসার করছেন না।

এ প্রসঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী সাইফুদ্দিন বলেন, ‘সমাজের একটি অংশ হিসেবে নারীদের যতটুকু সন্মান বা মর্যাদা পাওয়া উচিত সেটা আধুনিক সময়ে এসেও আমাদের সমাজে এখনো নেই। ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন ছাড়া এ অবস্থার উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য প্রতিটি স্তরের নারীদের এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে এখন যারা বড় বড় অবস্থানে আছেন তাদের উচিত এ বিষয়ে অনুজদের যথাযথ জ্ঞান দেওয়া। সমাজকে সবার জন্য সমানভাবে নিরাপদ জায়গা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে মেয়েরা একা বের হতে ভয় না পায়।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন বলেন, ‘নারীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে। সচেতনতার পাশাপাশি তাদের পর্যাপ্ত মানসিক সমর্থন করতে হবে এবং বুঝাতে হবে যে জীবন এতো মূল্যহীন নয়। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি পারিবারিক শিক্ষাকে প্রাধান্য দিতে হবে। সেই সাথে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও সকলকে সচেতন করতে হবে। সর্বোপরি নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে নয় বরং মানুষ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।’