নারীর অর্জন ফিরিয়ে আনতে কার্যকর কর্মসূচির আহ্বান
অনলাইন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:২৩ পিএম, ২০ মার্চ ২০২২ রবিবার

ফাইল ছবি।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম কোভিড মোকাবেলা করে নারীর পূর্বের অর্জন ফিরিয়ে আনতে কার্যকর কর্মসূচি গ্রহণ করার আহবান জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন যাতে নারীরা নিরাপদে কাজ করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, নারী আন্দোলনের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত করে মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। জেন্ডার ভিত্তিক ডাটাবেজ তৈরি এবং জেন্ডার বাজেট বাস্তবায়ন ও মনিটরিংয়ে জোর দিতে হবে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে আজ রোববার জাতিসংঘের কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অফ উইমেন (সিএসডব্লিউ) এর ৬৬ তম অধিবেশনে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
অধিবেশনে সংগঠনের পক্ষে উপস্থাপন করা কী-নোট পেপারে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট কর্মরত জনসংখ্যার ৯১.৩ শতাংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিযুক্ত। তাদের মধ্যে ৯৬.৭ শতাংশ কর্মরত নারী এবং ৮৮.৭ শতাংশ কর্মরত পুরুষ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে যুক্ত।
গত ১৪ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত নিউইয়র্কে জাতিসংঘের কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অফ উইমেন (সিএসডব্লিউ) এর ৬৬ তম অধিবেশন শুরু হয়েছে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে।
কী- নোট পেপার উপস্থাপন করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শরমিন্দ নিলোর্মী।
'নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন: কোভিড-১৯ এর প্রভাব এবং উত্তরণের উপায়' বিষয়ক প্যারালাল ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয় অনলাইনে।
এতে উল্লেখ করা হয়, কোভিডের প্রাদুর্ভাব নারীদের সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা প্রাপ্তির সুযোগ সীমিত করে তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, অবৈতনিক কাজের চাপ বৃদ্ধি এবং পারিবারিক সহিংসতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সংকটের জেন্ডারভিত্তিক প্রভাব আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের স্ট্যাটাসভূক্ত সহযোগী সংগঠন হিসেবে প্রতিবছরের মত এবারেও সিএসডব্লিউ এর ৬৬ তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ করছে।
ইভেন্টে মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম।
সম্মনিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশের কান্ট্রি ইকোনমিস্ট ড. নাজনীন আহমেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের লেকচারার তানভীর মাহমুদ।