ঢাকা, শনিবার ১৬, নভেম্বর ২০২৪ ২২:০২:৩৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

সুস্থ থাকার  সহায় হোক এসব খাবার

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৪৫ এএম, ২২ মার্চ ২০২২ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

শরীর সুস্থ থাকলে মন ভালো থাকে, আর মন ভালো থাকলে যেকোনো কাজই সহজে করা যায়। শরীর সুস্থ না থাকলে সব কিছুতেই বিরক্তি আসে। শরীরকে সুস্থ রাখতে খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খাবার ঠিক না হলে শরীর দুর্বল হয়ে পরে। আবার অনেক সময় শারীরিক দুর্বলতা মানসিক দুর্বলতাতেও পরিণত হয়। একি শরীর খারাপ তার উপর মানসিক চাপ দুটোই একজন মানুষকে ভেঙে ফেলে। এসব শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা দূর করতে সহায়ক হতে খাবার-দাবার। তাই শরীর সুস্থতায় সহায়ক খাবারগুলো হলো-

কাঠবাদাম: বাদাম সকলের পরিচিত। অনেক বাদাম, ড্রাই ফ্রুট শুকনো খাওয়ার চেয়ে জলে ভিজিয়ে রেখে খেলে তাঁর পুষ্টিগুণ অনেক বেড়ে যায়। তার মধ্য অন্যতম উদাহরণ কাঠবাদাম। এমনি টুকরো খিদে মেটাতে কাঠবাদামের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু প্রত্যেক দিন সকালে আপনি যদি সারা রাত ভিজানো কাঠবাদাম খালি পেটে খান, তা হলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের মতো অনেক সমস্যা দূরে থাকবে। সকালে যদি শরীরচর্চা করার অভ্যাস থাকে, তা হলে তার আগে কাঠবাদাম খেলে অনেক বেশি এনার্জি পাবেন।

 


খেজুর: খেজুর আমাদের সকলের পরিচিত এবং কমবেশি সকলেই খেজুর খেতে পছন্দ।  কাঠবাদামের মতোই খেজুরও যদি সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেতে পারেন তা হলে অনেক বেশি উপকার পাবেন। খেজুরে প্রচুর ফাইবার রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা কমায় এবং হজমশক্তি বাড়ায়। বিশেষ করে বর্ষায় যারা মাঝেমাঝেই ডায়রিয়া বা বদহজমের সমস্যায় ভুগছেন, তারা রোজ নিয়ম করে খেজুর খেলে উপকার পাবেন।

আমলকি: আমরা ভিটামিন সি নানান ফল থেকেই পেয়ে থাকি। আমলকি এমন একটি ফল যাতে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। খালি পেটে যদি আমলকির রস খেতে পারেন চুল, ত্বক সবই ভাল থাকবে। তার পাশাপাশি হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকবে এবং লিভারও ঠিক মতো কাজ করবে। এমনিতে আমলকি খুব টক হওয়ায় অনেকে সেদ্ধ করে ভাতে মেখে খান। কিন্তু তাতে সব পুষ্টিগুণ চলে যায়। তার চেয়ে কাঁচা খাওয়াই ভাল। খালি পেটে খেতে পারলে আরও উপকারী।

মধু: মধুর পুষ্টিগুণ সকলের জানা। আর গরম পানিতে লেবুর রস আর মধু খাওয়ার উপকারিতাও আমরা অনেকেই জানি। যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাঁরা বিশেষ করে এই পানীয় খালি পেটে খেতে পারেন। রোজ নিয়ম করে এই পানীয় খেলে শরীরের বিপাক হার বাড়বে এবং দ্রুত ওজন কমতে সাহায্য করবে।

 
জিরা ভিজানো পানি: আপনার যদি পিসিওডি বা থাইরয়েডের সমস্যা থাকে তা হলে অবশ্যই রাতে ঘুমোনোর আগে এক গ্লাস পানিতে কিছু জিরা ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে সেই পানি ছেঁকে খালি পেটে খান। এতে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে এবং বিপাক হারও বাড়বে।