প্রায় ২ লাখ শিশু প্রতিদিন প্রথমবারের মতো অনলাইনে প্রবেশ করে
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০৯:৫১ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:৫০ পিএম, ৩ মার্চ ২০১৮ শনিবার
প্রতিদিন ১ লাখ ৭৫ হাজারেরও বেশি বা প্রতি আধা সেকেন্ডে একজন শিশু প্রথমবারের মতো অনলাইন জগতে প্রবেশ করে। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ আজ মঙ্গলবার একথা জানিয়েছে।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থাটি সতর্ক করে জানিয়েছে, ডিজিটাল দুনিয়ায় শিশুদের এই প্রবেশ তাদের সামনে উপকার ও সুযোগের বিশাল দ্বার উন্মোচন করে। তবে একই সঙ্গে তাদের ঝুঁকি ও ক্ষতির মুখেও ফেলে, যার মধ্যে রয়েছে ক্ষতিকর কনটেন্ট, যৌন হয়রানি ও শোষণ, সাইবার উৎপীড়ন ও তাদের ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার।
ইউনিসেফের ডাটা রিসার্চ ও পলিসি বিভাগের পরিচালক লরেন্স চ্যান্ডি বলেছেন, ‘প্রতিদিন হাজার হাজার শিশু প্রথমবারের মতো অনলাইনে যাচ্ছে, যা তাদের জন্য ব্যাপক বিপদের দ্বার উন্মুক্ত করে। অথচ বিপদগুলো চিহ্নিত করার বদলে আমরা কেবল মূল্যায়নই করে যাচ্ছি। অনলাইনে সবচেয়ে ভয়াবহ ঝুঁকিগুলো দূর করার জন্য নীতিমালা প্রণয়নে সরকার ও বেসরকারি খাতগুলো অবশ্য কিছু অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে শিশুদের অনলাইন জীবনকে সম্পূর্ণরূপে বুঝতে ও তা সুরক্ষিত করার জন্য আরো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’
‘বিশ্বব্যাপী প্রতি তিনজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর একজন শিশু’ এবং ‘বিশ্ব শিশু পরিস্থিতি ২০১৭ : ডিজিটাল বিশ্বে শিশুরা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে যেভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সে অনুযায়ী ডিজিটাল বিশ্বের ক্ষতির হাত থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখা, অনলাইনে তাদের কার্যক্রমের তথ্য নিরাপদ রাখা এবং তাদের জন্য নিরাপদ ও মানসম্পন্ন কনটেন্ট ব্যবহারের সুযোগ তৈরিতে খুব কম কাজই হয়েছে।
প্রতিবেদনটি স্পষ্ট করে দেয় যে, ডিজিটাল বিশ্বে শিশুদের সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব সরকার, পরিবার, স্কুল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সবার। এতে বলা হয়েছে, শিশুদের ওপর ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রভাবকে একটি কাঠামোর মধ্যে আনতে বিশেষ করে প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ শিল্পে বেসরকারি খাতের একটি তাৎপর্যপূর্ণ ও সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু এই দায়িত্ব কখনোই যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়নি। তাই তথ্য ও গোপনীয়তার বিষয়ে নৈতিক মানসহ অনলাইনে শিশুদের উপকারে আসে এবং তাদের সুরক্ষিত রাখে- এমন চর্চাগুলো বাড়াতে বেসরকারি খাতের শক্তি ও প্রভাবকে কাজে লাগাতে হবে।
চ্যান্ডি বলেন, ‘একটি লিংকে ক্লিক করতে যে সময় লাগে, সেই সময়ের মধ্যেই একটি শিশু তার ডিজিটাল পদচিহ্ন তৈরি করতে শুরুকরে, যদিও ওইসব চিহ্ন সব সময় শিশুটির স্বার্থের জন্য সর্বোত্তম হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। ভাবা হয় না, শিশুরা ওই চিহ্ন অনুসরণ করতে পারে এবং এর অপব্যবহার হতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘যেহেতু আরও ছোট ছোট শিশুরা ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করেছে, তাদের কীভাবে অনলাইনে নিরাপদ রাখা যায় এবং তাদের ডিজিটাল পদচারণা কীভাবে সুরক্ষিত রাখা যায়, সে বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শুরু করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।’