বইমেলা : শনিবার রেকর্ড পরিমান বই বিক্রি
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০৩:৫৭ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৪:৩৬ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার
মহান একুশের গ্রন্থমেলায় শনিবার ছুটির দিনে দর্শনাথীদের ঢল নেমেছে। বই বিক্রিও হয়েছে প্রচুর। মেলা থেকে যারা ফিরে যাচ্ছে তাদের হাতে হাতে বইয়ের প্যাকেট। বিকেলে প্রায় সব স্টলেই অগণিত ক্রেতার ভিড় লেগে যায়।
এবারের মেলায় শনিবারই সর্বোচ্চসংখ্যক ২২৫টি নতুন বই এসেছে। প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে কবিতাগ্রন্থ ৮৮টি, উপন্যাস ৪২, শিশু-কিশোর ২২টি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই রয়েছে ১৩টি। এ নিয়ে এবারের মেলায় মোট নতুন বই আসলো ৯ শতাধিক। শনিবার আসা উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে বাংলা একাডেমি স্টলে এসেছে ‘শওকত ওসমান : জন্ম শতবর্ষ স্মারক গ্রন্থ’, এশিয়া পাবলিকেশন্স-এর ‘বাংলাদেশের অগ্রগতি বিস্ময়কর’, বিদ্যা প্রকাশনে মোহিত কামাল সম্পাদিত ‘তরুণদের ৩০ গল্প বড়দের ৩০ গল্প’, অনিন্দ এনেছে মিজানুর রহমান খানের ‘বাংলা ছোট গল্পের ভাষ্য ও রূপকল্প’।
মেলায় শনিবার সকালে ছিল শিশু প্রহর। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোরদের সঙ্গীত প্রতিযোগিতা। মহান একুশ স্মরণে বাংলা একাডেমি আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনটি বিভাগে শতাধিক শিশু অংশ নেয়। ভাষার গান, দেশাত্ববোধক ও মুক্তিযুদ্ধের গান পরিবেশন করে তারা। ‘অপমানে সেদিন জ্বলে উঠেছিল বর্ণমালা’, তোরা ঢাকার শহর রক্তে ভাসাইলি, ধন্যে ধান্যে পুষ্পভরা, রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি বাংলাদেশের নাম’সহ বিভিন্ন কালজয়ী গান ক্ষুদে শিল্পীরা পরিবেশন করে।
বিকেল ৩টার পর থেকে মেলায় দর্শনার্থীর ভিড় লেগে যায়। ৪টার পর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে লোকজন প্রবেশ করে। আর স্টলগুলোতে ক্রেতাদের বই পছন্দের হিড়িক পড়ে। প্রচুর বই বিক্রি হয়। প্যাভিলিয়নগুলোতে বিপুল পাঠক-দর্শক বইকেনায় ছিল মগ্ন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সব স্টলেই আজ এই চিত্র দেখা গেছে।
বিক্রেতারা স্টল থেকে বাসসকে জানান, এবারের মেলায় আজ সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। সারাদেশ থেকেই মেলায় মানুষ এসেছেন বই কিনতে। লেখক, প্রকাশক, কবি, সাহিত্যিক, দর্শনার্থীদের সম্মিলনে মেলা সেজেছে নতুন রূপে। লেখককুঞ্জ শনিবারই প্রথম খোলা হয়েছে। সেখানে সারাদেশ থেকে আসা লেখকরা বসে আড্ডায় মগ্ন ছিলেন।
মূল মঞ্চে বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয় ‘রবি গুহ, মুনীর চৌধুরী ও সরদার ফজলুল করিম’ শীর্ষক আলোচনা। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মফিদুল হক ও অধ্যাপক এম এম আকাশ। আলোচনায় অংশ নেন বেগম আখতার কামাল, অজয় দাশ গুপ্ত ও পিয়াস মজিদ। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক সনজীদা খাতুন। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
রোববার বিকেল ৪টায় মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘রুশ বিপ্লবের শতবার্ষিকী’ শীর্ষক আলোচনা। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। সভাপতিত্ব করবেন পবিত্র সরকার। সন্ধ্যায় থাকবে সঙ্গীতানুষ্ঠান।