এবার রোজার শুরু থেকেই জমজমাট ঈদ বাজার
নিশো আমান
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:১২ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২২ রবিবার
সংগৃহীত ছবি
গত দুই বছর করোনামহামারির কারণে ঈদমার্কেট ছিলো ক্রেতাশূন্য। এবছর রমজানের শুরু থেকে মহানগরীর মার্কেটগুলো ক্রেতার আগমনে জমজমাট হয়ে উঠেছে। খুশির ঝিলিক বিক্রেতার চেহারায়।ভিড় আর চড়া দাম এড়াতে আগেভাগেই কেনাকাটা সেরে ফেলতে চাইছেন অনেকে। কিন্তু শুরুতেই ঈদের বাজার অনেকটা চড়া বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তবে শত অভিযোগের পাশ কাটিয়ে মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের সরব উপস্থিতি জানান দিচ্ছে জমে ওঠা ঈদ বাজারের কথা।
আজ রোববার নগরীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, আকর্ষণীয় পোশাকের সংগ্রহ রয়েছে প্রতিটি দোকানেই। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে সব কটি বিপণি কেন্দ্র। লোকসমাগমও বেশ ভালো। এখনো পুরোদমে কেনাকাটা শুরু না হলেও ক্রেতারা মার্কেট ঘুরে ঘুরে দেখছেন, দাম সম্পর্কে ধারণা নিচ্ছেন। পছন্দমাফিক পোশাক পেয়ে গেলে কিনেও ফেলছেন কেউ কেউ।
দোকানিরা জানালেন, ঈদবাজার এরই মধ্যে জমজমাট হয়ে উঠছে। তারা আশা করছেন, ভিড় এড়াতে মার্কেটে আসা মানুষের এই দেখাদেখি বেশিদিন চলবে না।
বিক্রেতারা জানান, প্রতিবছরই এক শ্রেণির ক্রেতা নতুন ফ্যাশনের অপেক্ষায় না থেকে রোজার আগে বা শুরুর দিকে কেনাকাটা করে ফেলেন। তাদের কথা মাথায় রেখেই ইতোমধ্যে ঈদ পণ্যগুলো দোকানে তুলেছেন বিক্রেতারা। তারা সব শ্রেণির ক্রেতাদের জন্যই ঈদ পোশাক নিয়ে এসেছেন। যদিও আরো কয়েক ধাপে আসবে নতুন পোশাক। শুরুতেই ক্রেতাদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি আশান্বিত করছে বিক্রেতাদের। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ- নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মতোই সব ধরনের কাপড়ের দাম গত বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি হাঁকা হচ্ছে।
যমুনা ফিউচার পার্ক, গুলশান ডিএনসিসি মার্কেট, নিউ মার্কেট, বসুন্ধরা শপিং মল, আজিজ সুপার মার্কেট ও বঙ্গবাজারসহ বিভিন্ন বিপণিবিতান ঘুরে পোশাক দেখা আর বেচা-কেনার চিত্র দেখা গেছে। পরিবার, বন্ধু-স্বজনদের নিয়ে বাজারে এসেছেন অনেকে, ঘুরে ঘুরে পছন্দের পোশাক বাছাই এবং দরদাম করে কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন।
শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটে পোশাকের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। ক্রেতা উপস্থিতি আশানুরূপ বলে স্বস্তির প্রকাশ করেন কে-ক্রাফটের স্টলের ব্যবস্থাপক এম জিন্নাহ।
তিনি বলেন, মার্কেটে দোকানতো অনেক। মানুষ আসছে, দেখছে, ফিরছে পছন্দের পোশাক নিয়ে। বিক্রি বেশ ভাল। দুপুর পর্যন্ত বিক্রি আগের দিনের চেয়ে দ্বিগুণ বলে জানান তিনি।
যমুনা ফিউচার পার্ক ঘুরে দেখা গেল ঈদের কেনাকাটার জন্য আস্তে আস্তে ভিড় করছেন মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত পরিবারের সদস্যরা। দেশের প্রায় সব বড় বড় ফ্যাশন হাউস, কাপড়ের দোকান, জুতার দোকানসহ এ মার্কেটে রয়েছে বিদেশী নামিদামি ব্র্যান্ডের আউটলেট। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই রোজার ঈদকে কেন্দ্র করে তাদের ডিসপ্লে উইন্ডোতে তুলেছে নিত্যনতুন ডিজাইনের পোশাক, জুতাসহ অন্যান্য সামগ্রী। মার্কেটের জেন্টল পার্ক, খান্নানি ব্রাদার্স, গো গ্রাসি, আড়ং, ইনফিটিনিটি, ক্যাটস আই, নবরূপা, সাদাকালো ইত্যাদি দোকানগুলোতে ক্রেতার ভিড় দেখা গেল।
আড়ং বরাবরের মতো এবারও এনেছে এক্সক্লুসিভ পোশাক। বসুন্ধরা সিটির আড়ংয়ের বিক্রয়কর্মী তিথি বিশ্বাস বলেন, শহরের বিভিন্ন রাস্তার পাশে বিলবোর্ডে বা আড়ংয়ের ফটোশুটে ব্যবহার করা পোশাকগুলোই ক্রেতারা বেশি চাইছেন। হাতের কাজের প্রাধান্য দেওয়া এসব পোশাক পছন্দ করছেন তরুণীরা। এসব পোশাক পাঁচ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বরাবরের মতো এবারও কিশোরীদের পছন্দ আড়ংয়ের তাগা। এসব পোশাকে হাতের বিভিন্ন জায়গায় কুঁচি দেওয়া আবার কোনোটার হাতার মাঝখানে অনেকটুকু জায়গা ফাঁকা। কোনোটায় ঝালর দেওয়া। আড়ংয়ের পোশাকের বাহারি কোনো নাম নেই।