বইমেলায় বসন্তের ছোঁয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০৪:৩৫ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০২:৫০ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ শুক্রবার
আজ ওই দখিনা শিহরণে/শুকনো পাতার শব্দ/কোকিলের কণ্ঠে/বিরামহীন গান/আজ বসন্ত, আজ বসন্ত।সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ভেসে আসে পাখির ডাক। চারদিকে শুকনো পাতার ওড়াউড়ি। প্রকৃতিতে বসন্তের আবাহন। এসেছে বসন্ত। সেই শিহরণ প্রকৃতিজুড়ে। আজ পহেলা ফাল্গুন, ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। সেই আনন্দের রঙ লেগেছে বইমেলায়। তরুণ-তরুণীরা আজ মেতে উঠেছে বসন্ত আবাহনে।
পহেলা ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবস পরপর হওয়ায় তার রেশ মেলায় পড়তে শুরু করে আগে থেকেই। বাসন্তী শাড়ি পরে, খোঁপায় ফুল গুঁজে মেয়েদের ঘুরে বেড়ানো মেলায় উত্সবের রঙ বুলিয়ে দেয়। মেলাজুড়ে বসন্তের আবহ। ঝিরঝিরে পাতা ঝরার শব্দের মতো দলে দলে মানুষ এসেছে মেলায়। তরুণীদের পোশাকে বসন্তের ছোঁয়া। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে, বাংলা একাডেমির গাছে গাছে কোকিলের কুহু কুহু ডাক মেলায় আগতদের জানান দিচ্ছিল বসন্ত এসে গেছে।
আজ বইমেলার যেদিকে চোখ গেছে, সেদিকেই দেখা গেছে শুধু রঙ আর রঙ। যেন পুরো চত্বরজুড়ে বসেছে রঙের মেলা। নারীদের পরণে হলুদ, কমলা, বাসন্তিসহ নানা রঙের শাড়ি, খোপায় গাঁদা-গোলাপসহ নানা রঙের ফুল ও ফুলের রিং এবং কাঁচের চুড়ির ঝনঝনানিতে মুখর হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। ছেলেরাও আজ মেলায় এসেছে হলুদসহ নানা রঙের পাঞ্জাবি পরে।
বেলা বাড়ার সাথে সাথেই মেলায় ভিড় বাড়তে শুরু করে। তরুণ-তরুণীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। কেউ কেউ ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কেউ আবার বই দেখছেন পাতা উল্টে, কেউবা সেলফি তুলতে ব্যস্ত, আবার কেউ পছন্দের বইটি কিনছেন। সকলের পরনে েবসন্তের পোষাক। মনে আনন্দের বন্যা।
মালিবাগ থেকে মেলায় আসা ফরিদা হোসেন বললেন, আমাদের দেশে মানুষের উত্সব আনন্দে যাওয়ার জায়গা খুব বেশি নেই। আর বইমেলা হচ্ছে আমাদের সংস্কৃতির অন্যতম উত্সব। পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসে আমরা মেলায় অাসতে পছন্দ করি।
অবসর প্রকাশনীর প্রকাশক আলমগীর রহমান বললেন, পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসে সব সময়ই ভালো বেচাকেনা হয়। তরুণরা মেলা জমিয়ে তোলে। আশা করি, এবারো তার ব্যতিক্রম হবে না।