ঢাকা, রবিবার ১৭, নভেম্বর ২০২৪ ১০:৪৬:৩৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

মাঠ জুড়ে বোরো ধানের সবুজ ও সোনালী শীষ দোল খাচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:২০ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২২ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

নড়াইল জেলার ৩টি উপজেলার সর্বত্র মাঠের পর মাঠ জুড়ে বোরো ধানের সবুজ ও সোনালী শীষ দোল খাচ্ছে।চলতি বোরো মৌসুমের এ পর্যন্ত ধানের আবাদ ভালো হওয়ায় খুশি নড়াইলের হাজারো কৃষক।নড়াইল সদর, লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলার মাঠের পর মাঠ যেদিকেই তাকানো যায় বোরো ধানের সবুজ ও সোনালী শীষের সমারোহ চোখে পড়ে।

এ মৌসুমের আগাম রোপণকৃত জমির পাকা ধান কাটাও শুরু করেছেন অনেক কৃষক। তবে পুরোদমে ধানকাটা শুরু হবে সপ্তাহখানেক পরে।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, খাদ্যশস্যে উদ্বৃত্ত নড়াইল জেলায় গত মওসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে বোরো চাষাবাদ বেড়েছে।জেলার ৩উপজেলায় ৪৮ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ৪৯ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৩হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে, কালিয়া উপজেলায় ১৬হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে এবং লোহাগড়া উপজেলায় ১০হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। আবাদ হওয়া জমিতে ২ লাখ ১২ হাজার ১০৩ মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হবে বলে কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা আশা পোষন করছেন। প্রণোদনার আওতায় কৃষকেরা বিনামূল্যে সার ও বীজ পাওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আবাদ ভালো হয়েছে।মানভেদে বর্তমানে প্রতিমণ বোরো ধান বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায়। ধানের দাম সন্তোষজনক হওয়ায় খুশি কৃষকেরা।ধান কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌওসুমে বোরোর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

নড়াইল সদর উপজেলার সরসপুর গ্রামের রাজা মিয়া বলেন, আমার দু’টি স্যালো মেশিনে প্রায় ১৭ একর জমি বোরো চাষাবাদের আওতায় এসেছে।এসব জমিতে ভালো ধান হয়েছে। কলোড়া গ্রামের সুলতান আহম্মেদ জানান, তিনি ৫০ শতক জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন। হাটবাজারে নতুন ধান উঠা শুরু হয়েছে। প্রতিমণ ধানের বর্তমান বাজারমূল্য ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা।

জেলার লোহাগড়া উপজেলার পদ্মবিলা গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান, বিলে আগাম রোপণকৃত জমির পাকা ধান কাটা ইতোমধ্যে শুরু করেছেন তারা। তবে আগামী মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ নাগাদ বেশির ভাগ জমির ধান কৃষকের ঘরে উঠে যাবে। এবছর সারের কোনো ঘাটতি হয়নি। ধানের আবাদ যেমন ভালো, দামও বেশ ভালো বলে জানান তারা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নড়াইলের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় বলেন, খাদ্যশস্যে উদ্বৃত্ত নড়াইল জেলায় এ বছর বোরো ধানের আশানুরুপ আবাদ হয়েছে।কৃষকরা সময় মতো বীজ, সারসহ অন্যান্য উপকরণ ঠিক মতো পাওয়ায় ধান চাষে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়নি। এ ছাড়া বোরো চাষের জন্য  প্রণোদনার আওতায় নয় হাজার কৃষক হাইব্রিড এবং ছয় হাজার কৃষক উফশী জাতের বীজ ও সার বিনামূল্যে পেয়েছেন।এ জেলার উৎপাদিত ধান স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলায় বিক্রি করা হয়ে থাকে বলে তিনি জানান।