রাজধানীতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:৩৯ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার
ফাইল ছবি
রাজধানীর ছোট-বড় সব বিপণিবিতানে ঈদের কেনাবেচা জমে উঠেছে। ফুটপাতেও বিকিকিনি কম হচ্ছে না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় মুখর বিপণিবিতানগুলো।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীর শ্যামলী স্কয়ার, মিরপুর-১ নম্বরের সনি স্কয়ার, চিড়িয়াখানা রোডের আড়ং, ইয়েলো, টুয়েলভ, লা রিভ, আর্টিসান, মিরপুর-২ নম্বরের বিভিন্ন পোশাকের শোরুমগুলোতে দেখা গেছে, ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।
শপিংমলে অধিকাংশ ক্রেতাকে দেখা যায়, দুই হাতে বেশ কয়েকটি শপিং ব্যাগ। কেউ কিনেছেন নিজেদের জন্য, আবার কেউ স্বজনদের জন্য কেনাকাটায় ব্যস্ত।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। আগামী কয়েক দিনে ক্রেতাদের সমাগম আরও বাড়বে।
শ্যামলী স্কয়ারে কেনাকাটা করতে এসেছেন ছুমাইয়া ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আজ পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছি। আগামীকালও ছুটি আছে। দুই দিনে কেনাকাটা শেষ করতে হবে। এজন্য আজ ও কাল, এই দুই দিন অন্য কোনো কাজ রাখিনি। সারাদিন মার্কেটে কাটছে।’
মিরপুরের আড়ং শোরুমে অনেক ভিড়। ক্রেতারা লাইন ধরে শোরুমে ঢুকছেন। লিফটের মুখেও জটলা। পোশাকের পাশাপাশি জুতা ও প্রসাধন সামগ্রীর দোকানেও কম-বেশি ভিড় আছেই। এক মার্কেট থেকে অন্যটিতে গেলে মনে হয়, এখানে ভিড় আরও বেশি।
ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘প্রচুর ক্রেতা আসছেন। দিন যত যাবে, ভিড় তত বাড়বে। ভালো বিক্রি হবে বলে আশা করছি। করোনার কারণে দুই বছর ব্যবসায় মন্দা গেছে। এবার লোকসান কিছুটা কাটবে বলে আশা করছি।’
ইয়েলো এবং কান্ট্রিবয় শোরুমের বিক্রেতারা জানিয়েছেন, অভিজাত ক্রেতাদের টার্গেট করে তারা পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন। কয়েক বছর ধরে মেয়েদের কাছে জনপ্রিয় শারারা ও গারারা ড্রেস এবারও চলছে। সেসবের দামও সাধারণ ক্রেতার সাধ্যের বাইরে। ছেলেদের জন্য বিভিন্ন দেশের পোশাক ও পাঞ্জাবি এসেছে এ বছর। এ ব্যবসায় বিনিয়োগ অনেক বেশি।
তারা আরও জানান, করোনার পর এবার কালেকশন ভালো হলেও গতবারের চেয়ে এবার কাপড়ের দাম অনেক বেশি। আমদানি খরচ বৃদ্ধিসহ অন্যান্য খরচ অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে, ভারতে পোশাকের দাম বেশি বেড়েছে।
মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি রুচির পরিবর্তন ও মানের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি হওয়ায় অভিজাত পণ্যের পেছনে ঝুঁকছেন শহরের মানুষ। তারপরও সার্বিকভাবে সারা বছর যে পরিমাণ পোশাক বিক্রি হয়, তার বড় অংশই সাধারণ মানের। সারা বছরের যা বিক্রি হয়, তার ২৫-৩০ শতাংশই হয় ঈদুল ফিতরে।