নওগাঁয় জমে উঠেছে ঈদ বাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:৫৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২২ বৃহস্পতিবার
ফাইল ছবি
নওগাঁয় সারারা-গারারা ও কাঁচাবাদামে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। শহরের বড় বড় শপিংমল থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকানগুলোতেও বেড়েছে কেনাবেচা। ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়ছে।
শহরের বিপনিবিতানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, পোশাকের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে ক্রেতাদের উপস্থিতি। ভিড় সামালাতে দোকানি ও কর্মচারীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। করোনাভাইরাসে গত দু’বছর ব্যবসায় মন্দাভাব থাকলেও এ বছরের শুরু থেকেই বেড়েছে কেনাবেচা।
ঈদ এলেই শপিংমলগুলোতে দেশি পোশাকের পাশাপাশি আধিপত্য দেখা যায় ভারতীয় ও পাকিস্থানিসহ নানান ধরনের বিদেশি পোশাকের। এবার ঈদ বাজারেও বাহারি নামের কিছু ভারতীয় পোশাক আর্কষণ করেছে নারীদের। এবার ছেলের পছন্দের তালিকা জিন্স প্যান্ট, প্রিন্টের শার্ট, পাঞ্জাবি ও কাবলি। আর মেয়েদের সারারা-গারারা এবং কাঁচাবাদাম পোশাকের চাহিদা বেশি।
শহরের তৈরি পোষাকের জন্য অভিজাত বিপনী বিতানগুলোর মধ্যে নওগাঁর কাপড়পট্টি, গীতাঞ্জলি শপিং প্লাজা, আনন্দ বাজার, ক্রিসেন্ট মার্কেট, বসাক শপিং কমপ্লেক্স, দেওয়ান বাজার, শুভ প্লাজা, জোসনার মেলা, শাপলা ক্লথ ষ্টোর, কুমারখালি বস্ত্রালয়, ইসলাম মার্কেট, জহির প্লাজা, সৌদিয়া সুপার প্লাজা, মাজেদা সুপার মার্কেটে বেশি কেনাকাটা হচ্ছে।
নওগাঁ পৌরসভার বাসিন্দা মোস্তাক। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে সেলস অফিসার হিসেবে চাকরি করেন। তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। পোশাকের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। পোশাকের দাম একটু কম হলে মধ্যবিত্তদের জন্য ভালো হতো।
পাখি পড়াশুনা করছেন উচ্চ মাধ্যমিকে। এ বছর তার পছন্দের তালিকায় গারারা। তিনি বলেন, ঈদে পোশাকের জন্য চার হাজার টাকা বাজেট করেছি। এরমধ্যে একটি গারারা ও একটি থ্রিপিস। গারারা একেক দোকানে একেক দাম। অনেক খুঁজে ২৫০০ টাকা দিয়ে গারারা কিনেছি। পছন্দের পোশাক পেতে ভিড়ের কারণে অপেক্ষা করতে হয়েছে।
শহরের দেওয়ান বাজাররের আনিকা ফ্যাশন এর স্বত্তাধীকারী আবির বলেন, করোনাভাইরাসের মধ্যে দোকান ঠিকমতো চালু রাখা সম্ভব হয়নি। কেনাবেচা ছিল অনেক কম। এ কারণে অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। প্রতিটি দোকানেই ঈদের বাজার কেন্দ্রিক ব্যবসা দিয়ে সারা বছরের বিক্রি হিসাব করা হয়। মৌসুমের অন্য সময় কম বিক্রি হলেও ঈদে তা পুষিয়ে নেওয়া হয়। এবার রমজানের শুরু থেকেই কেনাবেচা ভালো হচ্ছে।
স্বর্ণা গার্মেন্টের প্রোপ্রাইটর সোহেল হোসেন বলেন, এ বছর পোশাক বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ক্রেতারা পোশাক পছন্দ করছেন। কিন্তু দামের দিক দিয়ে ক্রেতার সঙ্গে অনেক কথা বলতে হচ্ছে। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে গত দু’বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে।
শহরের অভিজাত দোকান শিলা মনি’র মালিক নেপালচন্দ্র ঘোষ বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে গত দুই বছর কেনাবেচা ভালো হয়নি। তবে এ বছর রমজানের শুরু থেকেই বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। ক্রেতারা নিত্য নতুন ডিজাইনের পোশাক কিনছেন। ক্রেতাদের পছন্দের বিষয় মাথায় রেখেই নতুন মডেলের পোশাক সংগ্রহ করা হয়েছে।