ঢাকা, শনিবার ১৬, নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৫৮:১১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ব্যস্ততা এখন সাজগোজে, ভিড় বিউটি পার্লারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:১৮ পিএম, ২ মে ২০২২ সোমবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ঈদের কেনাকাটা প্রায় শেষ। নতুন জামা-জুতা ও শাড়ি-গহনা কেনারও তাড়া নেই। তবে ঈদ উদযাপনে প্রস্তুতি ফুরোয়নি নগরবাসীর। কেনাকাটা সেরে সবাই এখন নিজের সাজগোজ নিয়ে ব্যস্ত। আর সে কারণেই রাজধানীর বিউটি পার্লার আর সেলুনগুলোতে সব বয়সী নারী-পুরুষের উপচেপড়া ভিড় লেগেছে। নারীরা চুল কাটা, ভ্রু প্ল্যাক, ফেসিয়াল, মেহেদী লাগাতে পার্লারে আর পুরুষেরা চুলে ছাঁট, ফেসিয়াল, কালার ও দাড়ি কাটতে ছুটছেন সেলুনে।

সোমবার (২ মে) দিনভর  রাজধানীর বিভিন্ন বিউটি পার্লার ও সেলুন ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। পরিবারের ছোট শিশুদের নিয়ে সেলুন যাচ্ছেন অভিভাবকেরা। তবে শেষ সময়ে তালিকা অনুযায়ী মজুরি নিচ্ছেন না পার্লার বা সেলুনকর্মীরা। অনেকে আবার খুশি হয়েই তাদের বাড়তি মজুরি দিচ্ছেন।

সকালে রাজধানীর মাটিকাটা এলাকার এক্সট্রিম সেলুনে দুই ছেলেকে নিয়ে চুল কাটতে আসেন ব্যবসায়ী হাসানুজ্জামান। দুই সন্তানের চুল কাটার মজুরি চাওয়া হয় ৬০০ টাকা।

সেলুনকর্মী জানান, বড়দের চুল কাটা হয় ১৫০ টাকায়। বাচ্চাদের চুল আড়াইশো টাকায়। তবে ঈদ উপলক্ষে ৫০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে।

করোনার ভয়ে গত দুই বছরেরও বেশি সময় বিউটি পার্লার ও সেলুন যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলেছেন  রূপচর্চায় মনোযোগী অনেকে। তবে সংক্রমণ কমায় এবার ঈদ ঘিরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে রূপচর্চাকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য। সেলুনগুলোতে চুল কাটা, দাড়ি শেভের জন্য মানুষের লম্বা লাইন। সিরিয়াল পেতে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পর্যন্তও অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কেউ কেউ আবার পছন্দের নরসুন্দরের কাছে সিরিয়াল দিয়ে অপেক্ষা করছেন।

ফেসিয়াল, চুলের ছাঁট আর নখে নকশা কিংবা মেহেদীর রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নেওয়ার দিনভর এ তাড়া দেখা গেছে রাজধানীর বিউটি পার্লারগুলোতে। তরুণীদের চাহিদা অনুযায়ী সাজিয়ে দিতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন বিউটিশিয়ানরা। বিভিন্ন এলাকার সাধারণ বিউটি পার্লারগুলোতেও দেখা গেছে বাড়তি ভিড়।


ক্যান্টনমেন্টের ডিভাস পার্লারের স্বত্বাধিকারী রেবেকা দিবা বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরেই চাপ বাড়ছে। সব বয়সী নারীরাই আসছেন। চুল কাটা, ভ্রু প্ল্যাক, ফেসিয়াল এগুলোই বেশি করছেন। প্রত্যেক কাস্টমারকে কিছুক্ষণ বসতে হচ্ছে। তবে এক বছরের ব্যবধানে পার্লার খরচ ২০ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তরুণীরা।

মিরপুরের বিউটি পার্লার বধূসাজের বিউটিশিয়ান তাজরিন খন্দকার জানান, মেহেদীর সাজ, হেয়ার ট্রিটমেন্ট, স্পেশাল হেয়ার কাট আর কুইক ফেসিয়াল, ম্যাসাজ, ব্রাইটেনিং ফেসিয়াল, অক্সি ব্রাইট ফেসিয়ালগুলোর চাহিদাই বেশি।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী জিনিয়া আক্তার জানান, ভ্রু প্ল্যাক, ফেসিয়াল ও চুল কাটায় খরচ ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ১৫০ থেকে ২০০ টাকার নিচে কেউ এক হাত মেহেদী করছে না। অনুরোধ করেও কাউকে কম দিতে পারছি না।

করোনা পরিস্থিতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে পার্লারগুলোও বিভিন্ন সেবা বাবদ মজুরি কিছুটা বাড়িয়েছে জানিয়ে রেবেকা দিবা বলেন, যে কসমেটিকসগুলো ব্যবহার করি সেগুলোর দাম বেড়েছে। কর্মীদেরও বেতন বাড়াতে হচ্ছে। এজন্য প্রাইসিং কিছুটা বেড়েছে। তবে এমনভাবে বাড়ানো হয়েছে যেন গ্রাহকের অসুবিধা না হয়।