এ্যানটিক পল্লীতে মাসে ৩ কোটি টাকার গহনা বিক্রি
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:২৩ পিএম, ২ মে ২০২২ সোমবার
ফাইল ছবি
বগুড়া জেলা শহরের উপকন্ঠে সম্প্রসারিত পৌর এলাকার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড ধরমপুর এ্যানটিক পল্লী। এখানে দিনরাত কাজ করছে ২০ গ্রামের ৩ সহস্রাধিক নারী-পুরুষ। এই ২০ গ্রাম থেকে প্রতিদিন ১০ লাখ টাকার এ্যানটিক গহনা যায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। মাসে প্রায় ৩ কোটি টাকার এ্যানটিকের গহনা পাইকারি বিক্রি হয়ে থাকে।
এখন সোনার দাম আাকাশ চুম্বি হওযায় মানুষ বেছে নিয়েছে তামা, পিতল ও দস্তার তৈরি এ্যানটিকের গহনা। সোনার গহনা চুরি ও ছিনতাইয়ের ভয় থাকবেনা তাই এ্যনটিকের তৈরি গহনা প্রচোলন শুরু হয়েছে। এ্যানটিকের বাজার সম্প্রসারিত হয়েছে।
ভারত ও দেশের যশোর থেকে কাঁচামাল এনে বগুড়ার ধরমপুরে কারিগররা সুনিপুঁণ হাতে তৈরী করছে এ্যাটিকের সব ধারনের গহনা। দেখে বুঝা যায় না এই গহনা সোনা দিয়ে তৈরি নয়।
আগে সোনার গহনা তৈরীর জন্য কয়লার আগুনে পিতলের নল দিয়ে গহনার জোড়া লাগানো হতো। এখন প্রযুক্তি পাল্টে গেছে তারা গ্যাসের পটে চাপ দিয়ে এ্যানটিকের গহনাকে জোড়া লাগায়। সোনার গহনার মত এ্যানটিকের গহনার কাজ প্রায় এক রকম। তারা একটি মোমের ছাঁচে এ্যানটিকের গহনা জোড়া দিয়ে তৈরি করেন নানা ডিজাইনের গহনা। এ সব এ্যানটিক তৈরি হয় তামা, পিতল ও দস্তার সংমিশ্রনে। অপূর্ব হতের কারু কাজে তৈরি হচ্ছে চোখ ধাঁধানো এ্যনটিকের গহনা।
ধরমপুর বাজার দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সামসুর রহমান সবুজ জানান, করোনা তাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তারা আবার ঘুওে দাঁড়িয়েছে। ঈদের বাজারেও ধরম পুরের তৈরি এ্যানটিকের গহনার চাহিদা বেড়েছে। নারীরা একটা সোনার গহনা পরলে সেই সাথে আরো দুটি এ্যানটিকের গহনা পরছেন।
ধরমপুর বাজার দোকান মালিক সিিমত সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন জানান, সোনার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ্যানটিকের গহনা চাহিদা বেড়েছে। এখানকার অনেকে যারা রিক্সা চালাতো, দিন মজুর ছিল, বা অন্যান্য পেশা নিয়োজিত ছিল। তাদের অধিকাংশই প্রথমে এ্যানটিক কারখানার শ্রমিক ছিল । এরপর তারা নিজেরাই এখন এ্যানটিক শিল্পের মালিক বনে গেছে।
এ্যানটিক শিল্পের জন্য সরকারি সহয়তা দেয়ার জন্য প্রস্তুত বগুড়া বিসিক। বগুড়া বিসিকের ডিজিএম মাহফুজুর রহমান জানান, বিসিক ঋণ সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। তিনি বলেন, এটি একটি সম্ভাবনাময় খাত। বিসিক এই খাতে সব রকম সহায়তা দিতে প্রস্তুত। অনেক ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রণোদনা পেয়েছে, কিন্তু এ্যানটিক কারিগররা এখনো কোনো সহায়তা চায়নি।