জাপানি শিশু: বাবার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন খারিজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:২৩ এএম, ২ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার
ফাইল ছবি
জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনার বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের বিরুদ্ধে শিশুদের মা নাকানো এরিকোর করা আদালত অবমাননার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
এর আগে গত ১৬ মে জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনার বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেন তাদের জাপানি মা নাকানো এরিকো।
ওইদিন আইনজীবী শিশির মনির বলেছিলেন, আপিল বিভাগের নির্দেশনা রয়েছে দুই শিশু মা নাকানো এরিকোর সঙ্গে বারিধারায় থাকবেন। বাবা শিশুদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। এ নির্দেশনা অমান্য করে ইমরান শরীফ জোর করে মাঝে মাঝেই শিশুদের নিয়ে বাইরে যান। এ কারণে আমরা আদালত অবমাননার আবেদন করেছি।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পারিবারিক আদালতে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা তাদের জাপানি মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে বলে রায় দেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি এ বিষয়ে দেওয়া হাইকোর্টের রায় বাতিল করা হয়।
এই সময়ে নাকানো এরিকো শিশুদের নিয়ে দেশত্যাগ করতে পারবেন না। বাবা ইমরান শরীফ শিশুদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন বলে রায়ে বলা হয়।
হাইকোর্টের রায় বাতিল করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে তিন মাসের মধ্যে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতকে দুই শিশুর জিম্মা সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তি করতে বলেন আদালত।
আদালতে নাকানো এরিকোর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও মোহাম্মদ শিশির মনির। ইমরান শরীফের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।
গত বছরের ২১ নভেম্বর জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা বাংলাদেশে তাদের বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে বলে রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়, তবে জাপান থেকে এসে মা বছরে তিনবার ১০ দিন করে দুই সন্তানের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে পারবেন। জাপানি মায়ের আসা-যাওয়া ও থাকা-খাওয়ার সব খরচ বাবা ইমরান শরীফকে বহন করতে হবে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।