গণপরিবহনে হয়রানির শিকার ৬৩ শতাংশ নারী: আঁচল ফাউন্ডেশন
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৮:৩৫ পিএম, ৩ জুন ২০২২ শুক্রবার
ফাইল ছবি
গত ৬ মাসে ঢাকার গণপরিবহনে ৬৩ দশমিক ৪ শতাংশ নারী বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছেন। শুক্রবার (৩ মে) আঁচল ফাউন্ডেশন তাদের গবেষণা-জরিপের তথ্য এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ বুলিং, ১৫ দশমিক ২ শতাংশ সামাজিক বৈষম্য, ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ লিঙ্গ বৈষম্য এবং ৮ দশমিক ২ শতাংশ বডি শেমিংয়ের শিকার হয়েছেন।
জরিপ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গাড়ির হেলপারের হাতে ২০ দশমিক ৪ শতাংশ নারী হয়রানির শিকার হয়েছেন। ৩ শতাংশ হয়েছেন হকারের মাধ্যমে এবং ১ দশমিক ৬ শতাংশ চালকের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হয়েছেন।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, মধ্যবয়সী পুরুষ যাত্রীদের হাতেই কিশোরী ও তরুণীরা বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এসব কারণে অনেক কিশোরী-তরুণী মানসিকভাবে অসুস্থ হয়েছে পড়ছেন।
জরিপে অংশগ্রহণকারী বেশির ভাগ নারী ঝামেলা এড়াতে এসব ঘটনার প্রতিবাদ করেননি। মাত্র শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্যোগ নিয়েছেন।
গণপরিবহনে সিটের অতিরিক্ত লোক নেওয়ার ফলে যৌনহয়রানি বাড়ছে বলেও জরিপ উঠে এসেছে।
গণপরিবহনে হয়রানি রোধে আঁচল ফাউন্ডেশনের ১০ দফা প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- পরিবহনে আসনের বেশি যাত্রী না তোলা, গণপরিবহনের ভেতর ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন, গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়ানো, নারীদের জন্য আলাদা পরিবহনের ব্যবস্থা করা, বাসের চালক, তত্ত্বাবধায়ক ও সহকারীর পরিচয় উল্লেখ করে নেমপ্লেট বাধ্যতামূলক করা, দ্রুত বিচার নিশ্চিত করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম নেওয়া ইত্যাদি।