অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোক ও এর প্রতিকার
অনলাইন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:৪০ পিএম, ৯ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার
ফাইল ছবি
গরমের তীব্রতা যেন বেড়ে চলছে অস্বাভাবিক ভাবে, অতিষ্ঠ নগরবাসী। তীব্র গরমে শারীরিক দুর্বলতা সহ দেখা দেয় নানান রোগ। এসবের মধ্যে অন্যতম হিটস্ট্রোক।
হিটস্ট্রোক কি :
স্বাভাবিক ভাবে মনে প্রশ্ন আসে হিটস্ট্রোক কি? শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গেলে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। এটি বাড়তে বাড়তে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পেরিয়ে গেলেই হিটস্ট্রোক হতে পারে। এটি একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি। দ্রুত চিকিৎসা না নিলে রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে। হিটস্ট্রোকের প্রধান কারণ পানিশূন্যতা।
হিটস্ট্রোক লক্ষণ :
মূলত পানিশূন্যতা এবং গরমের কারণে হিটস্ট্রোক হয়। এর সাধারণ কিছু লক্ষণ –
মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, বিভ্রান্তি, ক্লান্তিবোধ, ঘাম না হওয়া ও ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, দ্রুত হৃৎস্পন্দন, হ্যালুসিনেশন, বমিভাব। দিনমজুরদের হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
হিটস্ট্রোক এড়াতে যা খেতে হবে:
পানি: সারা দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। গরমে শরীরে পানির চাহিদা বেড়ে যায়। প্রতি ২০ মিনিটে অর্ধেক গ্লাস পানি পান করুন।
ফ্লেভারড ওয়াটার: চিনি ও আর্টিফিশিয়াল সুইটনার ছাড়া পানিতে লেবু, শসা, মালটা, কমলা বা স্ট্রবেরির স্লাইস দিন। কয়েক ঘণ্টা ঢেকে রাখুন। খাওয়ার সময় চাইলে লেবুর রসও মেশাতে পারেন।
সেলারি জুস: ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে টক্সিনের সঙ্গে সঙ্গে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস ও ক্লোরাইড বের হয়ে যায়। সেলারি জুস পারফেক্ট রিহাইড্রেটর। এতে রয়েছে পটাশিয়াম ও প্রাকৃতিক সোডিয়াম। প্রতিদিন সেলারি জুস খেলে শরীরে তাপ সহ্যক্ষমতা বাড়বে।
ঠাণ্ডা সবজি ও ফলমূল: শসা, রান্না করা বীট, বাঁধাকপি, সেলারি, শতমূলী, মটরশুঁটি, গাজর, ছোলা, ব্রোকোলি, ফুলকপি, তরমুজ, নাশপাতি, বেদানা, কলা, আম, ব্লু-বেরি, কেনবেরি, আঙুর, আনারস, আম, পেঁপে, নারিকেল, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি খান।
একাধিক গবেষণায় দেখা যায়, মাছের তেল মানুষের রক্তচাপ ১০ মাত্রা পর্যন্ত কমাতে পারে।
যা খাওয়া যাবে না:
ভাজা খাবার, প্রক্রিজাত করা মাংস, অ্যালকোহল, ক্যাফেইন, উষ্ণ মসলা- গোলমরিচ, রসুন, লবঙ্গ, দারুচিনি, আদা, জয়ফল।