নেপালের মেলায় যাচ্ছেন ২০ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:১৪ এএম, ১৪ জুন ২০২২ মঙ্গলবার
ফাইল ছবি
নেপাল চেম্বার এক্সপো ২০২২- এ অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন ২০ জন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা। আগামী ১৬ থেকে ২০ জুন নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ভ্রিকুতিমন্ডপ এক্সিবিশন হলে পাঁচ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করেছে নেপাল চেম্বার অব কমার্স। বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সহায়তায় আয়োজিত মেলায় অংশ নিতে ২০ জন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাকে সহায়তা করছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
মেলায় অংশ নেওয়া উদ্যোক্তাদের মধ্যে ১৬ জন নারী ও চারজন পুরুষ। কোভিড-১৯ এর কারণে গত দুই বছরে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়া এসএমই উদ্যোক্তারা তাদের পণ্যের বাজারজাতকরণেও অনেক পিছিয়ে আছেন। প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সহায়তার অংশ হিসেবে এসএমই উদ্যোক্তাদের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ, পণ্যের প্রচার এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশী পণ্যের বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্য (তাঁত, সিল্ক, মসলিন, বিভিন্ন টাই-ডাই করা পোশাক, হোম ডেকর, জুয়েলারি, কাঁথা, চামড়াজাত পণ্য) প্রস্তুতকারী উদ্যোক্তাদের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মাধ্যমে নেপাল চেম্বার এক্সপো ২০২২-এ বিনামূল্যে অংশগ্রহণে সহায়তা করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে এসএমই পণ্যের প্রচার, প্রসার ও বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণে সহায়তা কর্মসূচির অংশ হিসেবে উদ্যোক্তাদের এই সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য অনেক সম্ভাবনাময়। একক দেশ হিসেবে নেপাল বাংলাদেশের পণ্যের গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যস্থল।
পঞ্চমবারের মতো আয়োজিত এই এক্সপোতে নেপাল ও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের উদ্যোক্তারা ১৫০টি স্টলে তাদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি সুযোগ পাবেন।
এ মেলায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কাঠমুন্ডুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস নানাভাবে সহায়তা করছে। সেজন্য নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
এসএমই ফাউন্ডেশন বিশ্বাস করে, এই মেলায় অংশ নিয়ে এসএমই উদ্যোক্তাগণ নিজেরা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনই নেপালের স্থানীয় বাজারে ভবিষ্যতে এসএমই পণ্য রপ্তানির বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এখন পর্যন্ত এসএমই ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ২৭৩ জন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা চীন, জাপান, কাতার, ভারত, জার্মানি ও নেপালে আন্তর্জাতিক মেলায় নিজেদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রয়ের সুযোগ পেয়েছেন।