কুড়িগ্রামে বন্যায় তলিয়ে গেছে ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৯:৩৯ পিএম, ১৯ জুন ২০২২ রবিবার
ফাইল ছবি
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। একই সঙ্গে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ১০ হাজার ৭৯৪ হেক্টর জমির ফসল।
রোববার (১৯ জুন) বিকেল ৩টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৩৮ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তা নদীর পানি ব্রিজ পয়েন্টে এখনও ২৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে। অন্যদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে মৎস্য বিভাগের ৫৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।
জানা গেছে, বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ১০ হাজার ৭৯৪ হেক্টর জমির ফসল এবং প্রাণিসম্পদের ক্ষতি হয়েছে সাড়ে ১১ লাখ টাকা। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যার পানিতে উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুরের যমুনা সরকার পাড়ায় মাকসুদা জান্নাত (১১) নামে এক কন্যাশিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও কুড়িগ্রামে স্বাস্থ্য বিভাগের ৮৫টি মেডিকেল টিম, ৯ উপজেলার বানভাসিদের জন্য চিকিৎসা দিচ্ছে। একই সঙ্গে প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে ১৮টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
এদিকে আজ রোববার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস ৯ উপজেলার ৪৯টি ইউনিয়নের ৮৭ হাজার ২৩২ জন মানুষ পানিবন্দি হওয়ার তথ্য দিলেও প্রকৃতপক্ষে ৯ উপজেলায় পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা দুই লাখ বলে স্থানীয় প্রতিনিধির মাধ্যমে জানা যায়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায় জানান, চলতি বন্যায় এখন পর্যন্ত ৫৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে ৭৪২টি পুকুরের ৭০৫ জন মৎস্য চাষির ১১৫ টন মাছ ভেসে গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুর রশীদ জানান, এখন পর্যন্ত বন্যায় ১০ হাজার ৭৯৪ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নাগেশ্বরীতে বেড়ি বাঁধের ৫০ মিটার ওয়াস আউট হয়ে গেছে। এ ছাড়া দুধকুমর নদীর কালিগঞ্জ, বামনডাঙ্গা ও ধাউরারকুটি এলাকায় বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বন্যার প্রস্তুতি হিসেবে জেলা প্রশাসক দপ্তরে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আজ রোববার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতিদিনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রদান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২০ লাখ টাকা এবং ৪০৭ টন চাল মজুত রয়েছে। এ ছাড়াও আরও ৫০০ টন চাল ও ২০ লাখ টাকার চাহিদা দেওয়া হয়েছে।