পৃথুলার পরিবার চায়নি একমাত্র সন্তান পাইলট হোক
ডেস্ক প্রতিবেদন
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০১:০১ পিএম, ১৮ মার্চ ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৪:৩১ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৮ সোমবার
এটি ছিল কো-পাইলট হিসেবে পৃথুলা রশীদের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইটটিও ছিল কাঠমান্ডুতেই।
বিবিসি বাংলার সাথে এক কথপোকথনে পৃথুলার জীবনের নানা দিক সম্পর্কে কথা বলেন তার খালাতো বোন তাসমিন রহমান অমি। তিনি বলেন, পৃথুলার পাইলট হওয়াটা পরিবারের অনেকেই পছন্দ করেনি। জীবনের শঙ্কা রয়েছে এমন একটা পেশায় যে তিনি যোগ দেবেন এটা অনেকেই মেনে নিতে পারেনি।
তাসমিন রহমান অমি বলেন, "ও জয়েন করার পর থেকেই আমরা এই ঝুঁকির বিষয়টা জানতাম। বেসিক্যালি, ও নিজেই এই পেশায় যেতে চেয়েছিল," বলছিলেন মিস রহমান।
তিনি জানান, পৃথুলার মন ছিল খুবই অনুসন্ধিৎসু। নানা জিনিস সম্পর্কে তিনি জানতে চাইতেন। ছেলে বেলায় তিনি একবার নিজের ওপর পরীক্ষা করে দেখতে গিয়েছিলেন যে মারা গেলে কেমন লাগে। তার বাবা সে সময় বাসায় ছিলেন। তিনিই মেয়েকে বিপদের হাত থেকে বাঁচান।
তাসমিন বলেন, পৃথুলা রশীদ ছিলেন খুবই কোমল প্রাণের মানুষ। বাসায় খরগোশ, মাছ পুষতেন। রাস্তার কুকুরদের জন্য তার ছিল অসীম মায়া। একবার একটি কুকুরের শ্বাসকষ্ট দেখে বাবার ইনহেলার দিয়ে চিকিৎসা করান।
তিনি জানান, একবার এক চড়ুই পাখি ডানা ভেঙে বাসায় এসে পড়েছিল। অনেক যত্ন নিয়ে তিনি সেই পাখির শুশ্রূষা করেন। কিন্তু পাখিটি শেষ পর্যন্ত বাঁচেনি। এই শোকে পৃথুলা দুই-তিন দিন ভাল করে খাওয়া দাওয়া করতে পারেননি।
তাসমিন বলেন, "সে ছিল এমন এক মানুষ যার উপস্থিতি আপনার মনে ভাল করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট,"। আপনার মন খুব খারাপ, কিন্তু ও এমন একটা কিছু করবে, বা এমন একটা কিছু বলবে, যাতে আপনার একদম মন ভাল হয়ে যাবে।"
কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গত সোমবারই নিশ্চিত করে, নিহতদের মধ্যে ইউএস-বাংলার ঐ ফ্লাইটের পাইলট পৃথুলা রশীদও রয়েছেন।
সূত্র : বিবিসি বাংলা