সর্দি-কাশি ও জ্বরে করণীয়
অনলাইন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:৪০ এএম, ২৯ জুন ২০২২ বুধবার
ফাইল ছবি
প্রকৃতির খামখেয়ালি আচরণের প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরে। বর্ষাকালে অনেকেই সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হন। আদ্রতা ও স্যাঁতসেঁতে ভাবে অ্যালার্জিও বেড়ে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কোনোভাবে একটু দুর্বল হলেই অসুখ-বিসুখ আক্রমণ করে!
ঋতু পরিবর্তনের সময় বাতাসে দানা বাঁধে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া। ফলে সংক্রান্ত অসুখও বেশি দেখা দেয়। ভ্যাপসা গরমে জ্বর, সর্দি, গলাব্যথা, কাশি শরীরে বাসা বাধে। এক্ষেত্রে ঘরোয়া কিছু উপায়ে আরাম বা এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে—
আদা খান
সর্দি-কাশি, জ্বর কিংবা গলাব্যথা রোধে আদার ব্যবহার অনেকেরই জানা। এ ধরনের সমস্যায় আদা ভীষণ উপকারী। আদা চায়ের সঙ্গে যোগ করতে পারেন কিছুটা মধু। এভাবে পান করলে তা আপনার শরীর উষ্ণ রাখার পাশাপাশি সর্দি-কাশি দূর করতে সাহায্য করবে। এক চা চামচ আদার রস সামান্য লবণ যোগ করে খেলেও উপকার পাবেন।
ভেপার ব্যবহার
প্রথমে পরিষ্কার চাদর বা তোয়ালে দিয়ে কান, গলা, মাথা ঢেকে নিন। এর পর গরম পানি ভাপ নিন। গরম পানিতে ব্যাকটেরিয়া নিরোধক ওষুধ মিশিয়ে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে সেটি মেশাতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে। অথবা মেশাতে পারেন ক্যামোমাইল বা ইউক্যালিপটাস তেল। ভাপ নিলে কমবে পোস্ট নেজাল ড্রিপিং। ফলে কমবে কাশি। ভাপ নেওয়ার সময় ফ্যান বন্ধ রাখবেন। ভাপ নেওয়া শেষ হওয়ার পর মিনিট দশেক ফ্যানের নিচে থাকবেন না।
আপেল সাইডার ভিনেগার
আপেল সাইডার ভিনেগারের অনেক রকম গুণ রয়েছে। তার মধ্যে গলার মিউকাসকে ভাঙতে এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধে কার্যকরী। সর্দি-কাশির সমস্যায় প্রতিদিন খালি পেটে হালকা গরম পানিতে ২ চা চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার যোগ করে খাবেন। এতে ঠান্ডার সমস্যা দূর হবে অনেকটাই।
মধু খান
বর্ষায় ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজনিত অসুখ থেকে বাঁচতে রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেতে পারেন। হালকা গরম পানি বা দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাবেন। এটি ঠান্ডার প্রকোপ ও কাশি কমাতে দারুণ কার্যকরী। তবে মধু যেন খাঁটি হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে।