ঢাকা, শুক্রবার ২৯, নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৭:১৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

মৃত্যুপথযাত্রীর রিট: ১৬ বছরের মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করতে রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:০৫ পিএম, ২৯ জুন ২০২২ বুধবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ঢাকার সবুজবাগের বাসিন্দা গুরুতর অসুস্থ মো. মাহবুবুল আলম বাদলের ১৬ বছরের মেয়ে ও নারায়ণগঞ্জের আব্দুল বাদশা সিকদারের ২৫ বছরের ছেলের বিয়ের ব্যবস্থা করতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। 

রুলে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ এর ১৯ ধারা এবং বাল্যবিবাহ নিরোধ নীতিমালা, ২০১৮ এর ১৭ বিধি  অনুযায়ী অপ্রাপ্তবয়স্কদের সর্বোত্তম স্বার্থে বিয়ের জন্য উপযুক্ত কোর্ট কেন নির্ধারণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।


বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইলিয়াস আলী মন্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় বলেন, আদালত বাল্যবিবাহের ওপরে রুল জারি করেছেন। ঢাকার সবুজবাগের ১৬ বছরের মেয়ে ও ২৫ বছরের এক ছেলে বিয়ে করতে চায়। বাল্য বিবাহ আইনের ১৯ ধারায় বলা আছে বিশেষ পরিস্থিতিতে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে মেয়েকে বিয়ে দেওয়া যাবে। তবে কোর্টের অনুমতি নিতে হবে। তবে কোন কোর্টের অনুমতি নিতে হবে আইনে সে বিষয়ে উল্লেখ নেই। 

এ কারণে গত ২০ মার্চ ১৬ বছরের মেয়ের সঙ্গে ২৫ বছরের ছেলের বিয়ের ব্যবস্থা করতে তাদের অভিভাবকরা ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। সেখানে অনুমতি না পেয়ে ১৬ বছরের মেয়ের বাবা মো. মাহবুবুল আলম বাদল হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। শুনানি শেষে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে রুল জারি করেছেন। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে ১৯ ধারায় বিশেষ পরিস্থিতিতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিয়ের যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, রিটকারীর ছেলে-মেয়ের জন্য সেই সুযোগ দিতে এ রুল জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 


রিট আবেদনে বলা হয়, কন্যার বয়স আনুমানিক ১৬ বছর এবং ছেলের বয়স ২৫ বছর, যথাক্রমে আমরা তাদের পিতা ও আইনত অভিভাবক। আমরা উভয় পরিবারের মধ্যে ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধুত্ব দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।  মেয়ের বয়স ১৬ হলেও তার শারীরিক গঠন বা আকৃতি এবং মানসিক অবস্থায় একজন পরিপূর্ণ মহিলা হিসেবে পরিণত হয়েছে।

রিটে মেয়ের বাবা বলেন, আমি মাহবুবুল আলম কন্যার পিতা দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছি। কোন দিন দুনিয়া ছেড়ে চলে যাই, তা একমাত্র আল্লাহপাক ভালো জানেন। পিতা হিসাবে সৎপাত্রে কন্যা দান করা আমার সর্বোত্তম শেষ ইচ্ছা বাস্তবায়নের জন্য আমার বন্ধুবর মো. আব্দুল বাদশা সিকদারের সুযোগ্য ছেলে মো. রিফাত আহমেদের  সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ের বিষয়টি উভয় পরিবারের পূর্ণ সম্মতিতে চূড়ান্ত হয়েছে। 

তিনি বলেন, সামাজিক-পারিপার্শ্বিক ও আমার অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উক্ত বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা প্রয়োজন। আমাদের উভয় পরিবারের উক্ত ছেলে-মেয়ের সর্বোত্তম স্বার্থে, উভয় পরিবারের অভিভাবকের পূর্ণ সম্মতিতে সামাজিক ও ধর্মীয় মর্যাদায় উক্ত বিবাহ অনুষ্ঠানের জন্য আপনাদের আইনত অনুমতি একান্ত প্রয়োজন। অন্যথায় তা এ পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতি ও ক্ষতির কারণ হবে।