ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬, নভেম্বর ২০২৪ ১০:৩৭:৪১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

চিরসবুজ অভিনেত্রী জয়ার জন্মদিন আজ

বিনোদন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৫৫ পিএম, ১ জুলাই ২০২২ শুক্রবার

কখনো তাকে বলা হয় অনিন্দ্য সুন্দরী আবার কখনো-বা চিরসবুজ। বয়স নিয়ে ভাবার সময় তার নেই। তার নামটাই পরিচয়ের জন্য যথেষ্ট। জয়া আহসান। প্রশংসায় পঞ্চমুখ সিনে সমালোচকরা। শুধু কি বাংলাদেশেই, কলকাতায়ও জয়ার অবস্থান প্রথম সারিতে। সেখানকার নির্মাতা-প্রযোজক এবং দর্শকের কাছে জয়া আহসানের চাহিদা একদম উপরের দিকে। একের পর সফল ও দর্শকনন্দিত সিনেমায় অভিনয় করে নিজেকেই ছাড়িয়ে যাচ্ছেন জয়া।

বর্তমানে এপার বাংলার কাজের চেয়ে ওপার বাংলাতেই কাজের পরিমাণ জয়ার বেশি। অভিনয়কে যিনি ধারণ করেছেন প্রতিটি শিরা-উপশিরায়, যেন অভিনয়ের জীবন্ত এক দেবী জয়া। ছোটবেলা থেকে নাচ-গানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন জয়া। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি ছবি আঁকাও শিখেছিলেন। জয়া আহসানের ক্যারিয়ার শুরু হয় ছোট পর্দা দিয়ে। তিনি বহু নাটক ও টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন। মডেল হয়েছেন অনেক বিজ্ঞাপনের।

গুণী এই অভিনেত্রীর চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘ব্যাচেলর’ সিনেমা দিয়ে। জয়া বরাবরই সময় নিয়ে সিনেমা করেছেন। যার ফলে তার একটি সিনেমা থেকে অন্য সিনেমার মধ্যকার সময় বেশ লম্বা। ‘ব্যাচেলর’ সিনেমার পর ছয় বছর বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় সিনেমায় কাজ করেন তিনি। সেটি ছিল নুরুল আলম আতিক পরিচালিত ‘ডুবসাঁতার’।

প্রথম দুটি সিনেমায় জয়া তার অভিনয় দক্ষতা ফুটিয়ে তুললেও সেভাবে জনপ্রিয়তা পাননি। ২০১১ সালে জনপ্রিয়তা আর প্রশংসা সব একসঙ্গে নিজের করে নেন জয়া। সে বছর তিনি তানিম নূর পরিচালিত ‘ফিরে এসো বেহুলা’ এবং নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু পরিচালিত ‘গেরিলায় অভিনয় করেন। এর মধ্যে ‘গেরিলা’ তাকে এনে দেয় দারুণ জনপ্রিয়তা। এ সিনেমার জন্য জয়া ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জুরিদের বিচারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন।

‘গেরিলা’র পর কলকাতার নির্মাতা-প্রযোজকদেরও নজরে আসেন জয়া আহসান। সেই সুবাদে তিনি টালিউডেও কাজ শুরু করেন। ২০১২ সালে তরুণ নির্মাতা রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ সিনেমায় কলকাতার ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের সঙ্গে অভিনয় করে কলকাতায়ও আলোচিত হন।

জয়ার অর্জনের ঝুঁলিতে রয়েছে এপার-ওপার বাংলার একঝাঁক পুরস্কার। অভিনয়ের দক্ষতায় জয়া যেমন মুগ্ধ করেছেন সবাইকে, তেমনি ভারী হয়েছে তার পুরস্কারের পাল্লা। এ পর্যন্ত তিনি চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, দুবার বাচসাস পুরস্কার, সাতবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, দুবার ভারতের ফিল্মফেয়ার এবং একবার টেলি সিনে পুরস্কার অর্জন করেছেন। এ ছাড়া অসংখ্যবার পেয়েছেন মনোনয়ন। ব্যক্তিজীবনে প্রাণিপ্রেমী অন্য এক জয়াও রয়েছে। আর এ জন্য তিনি পেয়েছিলেন সম্মাননাও। দুই বাংলায় অসামান্য জনপ্রিয়তা ও সাফল্য অর্জন করা এই অভিনেত্রীর জন্মদিন আজ। তবে জয়ার বয়স যেন আজও আটকে আছে তার সৌন্দর্যে।