ঢাকা, শুক্রবার ২৯, নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৬:১৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

রেহনুমার মৃত্যু: কাউন্সিলরের ছেলে গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৩০ পিএম, ৩ জুলাই ২০২২ রবিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরুল আমিনের পুত্রবধূ রেহনুমা ফেরদৌসের (২৫) মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় তার স্বামী নওশাদ আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল শনিবার (২ জুলাই) দিবাগত রাতে রেহনুমার বাবা তারেক ইমতিয়াজ বাদী হয়ে নগরীর পাহাড়তলী থানায় মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে আরেক আসামি রেহনুমার শাশুড়ি পলি বেগম পলাতক।

পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কাউন্সিলরের পুত্রবধূ মৃত্যুর ঘটনায় রাতে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে করা মামলায় নওশাদ আমীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক আছেন রেহনুমার শাশুড়ি। তাকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলার বাদী তারেক ইমতিয়াজ বলেন, ২০১৮ সালে রেহনুমার সঙ্গে নওশাদ আমিনের বিয়ে হয়। তাদের আড়াই বছরের মেয়েসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নিয়মিত নির্যাতন করতো। দেড় মাস আগেও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের বাসায় দুই দফা সালিশ বৈঠক হয়েছিল। এরপরও তারা থামেনি। তাদের নির্মম নির্যাতনে রেহনুমা মারা গেছে। এখন আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে। আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

জানা গেছে, শনিবার সকাল ১০টায় শ্বশুরবাড়ির একটি কক্ষ থেকে রেহনুমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে রেহনুমার স্বজনদের দাবি, তাকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হচ্ছে।

তখন পাহাড়তলী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেছিলেন, আমরা খবর পেয়ে কাউন্সিলরের ছেলে নওশাদ আমিনের বাসা থেকে তার স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছি। আমরা গিয়ে বাসার বিছানায় মরদেহ পেয়েছি। কাউন্সিলরের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন রেহনুমা আত্মহত্যা করেছেন। তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন নওশাদুলের পরিবারের সদস্যরা।

ময়নাতদন্ত শেষে বাবার বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তবে জানাজায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন ছিলেন না বলে জানিয়েছেন রেহনুমার স্বজনরা।