ঢাকা, শনিবার ৩০, নভেম্বর ২০২৪ ৩:৪২:২৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

স্বাধীনতা বিরোধীরা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ১০:৫২ পিএম, ২৭ মার্চ ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৮:২৭ পিএম, ৩০ মার্চ ২০১৮ শুক্রবার

‘এই দেশ মুক্তিযোদ্ধাদের, স্বাধীনতা বিরোধীদের নয়’, উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশবিরোধী শক্তি কোনদিন যেন এদেশে ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। 

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটস্থ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে ৪৮তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে এ আহ্বান জানান।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, লাখো শহীদের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা যেন কোনদিন ব্যর্থ হতে না পারে এজন্য দেশবাসীসহ সকলকে সজাগ থাকতে হবে। বাংলাদেশ স্বাধীনতাবিরোধী, জঙ্গি এবং যুদ্ধাপরাধীদের দেশ নয়, এই দেশ মুক্তিযোদ্ধাদের, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের, আমরা সেভাবেই দেশটাকে গড়ে তুলতে চাই।


তিনি বলেন, যারা স্বাধীনতাকে ব্যর্থ করতে চায়, তারা যেন কোনদিন ক্ষমতায় না আসতে পারে, আগামীতে এ দেশ হবে শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের। রাজাকার, আলবদর, আল শামস আর খুনীরা যেন আর কখনো ক্ষমতায় না আসতে পারে, সেদিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের জন্য সম্পদ করা নয়, জনগণ যাতে সম্পদশালী হয়, উন্নত হয়, বাংলাদেশে একটা মানুষও যাতে গৃহহারা না থাকে, কেউ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায় এবং একটা মানুষও বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না-আমরা সেটাই করতে চাই। তাই সরকারের লক্ষ্য তৃণমূল পর্যায় থেকে উন্নয়ন করা। আমরা গ্রাম পর্যায় থেকে উন্নয়নের কাজটা শুরু করেছি।



দেশে জিয়াউর রহমানের আমল থেকেই খেলাপি ঋণের কালচার চলে আসছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জিয়ার আমল থেকেই এই দুর্নীতির শুরু যা ধারবাহিকভাবে জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া যখনই যে সরকারে এসেছে, তাই করেছে।

দীর্ঘ বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে নানা সময়ের ষড়যন্ত্রের উল্লেখ করে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে তাকে গ্রেফতারের কথা তুলে ধরেন।


তিনি বলেন, ‘তখন অত্যাচার নির্যাতন করেছে বিএনপি সরকার। আর গ্রেফতার করা হলো আমাকে। কারা এই কাজ করেছে, তা আমি জানি।’


বিএনপি-জামায়াত জোটের সময়ের বিবরণ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, তারা বাংলা ভাই সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশকে সন্ত্রাসের দেশে পরিণত করেছে। গ্রেনেড হামলা তো আছেই। এইভাবে অত্যাচার করে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার চেষ্টা করেছে তারা, ইতিহাসকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন এবং ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি একেএ রহমতউল্লাহ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।


এছাড়াও, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক সাদেকা হালিম বক্তৃতা করেন। দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সভাটি পরিচালনা করেন এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।