লেখিকা সংঘ সম্মাননা পেলেন তিন লেখক
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ১১:০১ পিএম, ৩১ মার্চ ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৯:০৩ পিএম, ১ এপ্রিল ২০১৮ রবিবার
প্রতিষ্ঠার ৪৫ বছর পূর্ণ করেছে বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ। এ উপলক্ষে শনিবার তিন সাহিত্যিককে সম্মাননা দিয়েছে সংগঠনটি। সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন-সালেহা চৌধুরী, হরিশংকর জলদাশ ও লিপি মনোয়ারা। কবি তাইবুন নাহার রশীদ স্বর্ণপদক প্রদান করা হয় মীনা আজিজকে।
অনুষ্ঠানে সংঘ কর্তৃক প্রকাশিত সংঘের সম্পাদনা পরিষদের ‘আমার ছোটবেলা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান ও কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন এবং নাট্যজন মামুনুর রশীদ। সভাপতিত্ব করেন লেখিকা সংঘের সভাপতি দিলারা মেজবাহ্। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংঘের সাধারণ সম্পাদক সেলিনা খালেক।
সেলিনা হোসেন বলেন, ‘লেখকের কোন নারী-পুরুষ নেই। সৃজনশীলতা দিয়েই লেখককে তার পথ তৈরি করে নিতে হয়। সেখানে দরকার হয় শ্রম ও নিষ্ঠার। নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সে সাহিত্যধারা দেশে এগিয়ে যাচ্ছে, সেটাকেই ধারণ করছে এই লেখিকা সংঘ। এ কারণেই এখানে নারী লেখকদের পাশাপাশি পুরুষ লেখকরাও পুরস্কৃত হচ্ছেন। এর মাধ্যমে মূলত সৃজনশীল সাহিত্যচর্চাকে সম্মানিত করা হচ্ছে।
মামুনুর রশীদ বলেন, এই সংগঠনটি লেখিকাদের একটি সম্মিলনের জায়গা। যাদের সম্মানিত করা হলো, তারা প্রত্যেকেই গুণীজন। সালেহা চৌধুরী অসুস্থতার পরেও অনবরত লিখে চলেছেন। তার লেখার মধ্যে বিচিত্র সব বিষয় খুঁজে পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, হরিশংকর জলদাসের প্রথম উপন্যাসটি পড়ার পরেই তার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। তাকে ক্রমাগত আবিস্কার করে চলেছি। আমার অভ্যাস হচ্ছে, কোন লেখকের লেখা ভালো লাগলে, তার সবগুলো লেখা পড়ার চেষ্টা করি। তার লেখাগুলো পড়লে আত্মজৈবনিক মনে হয়। তবে সেখানে একটা ‘ম্যাজিক রিয়েলিটি’ আছে। জলদাস সম্প্রদায়ের পরিপূর্ণ চিত্র থাকে তার লেখায়। তার লেখা আমাকে ভীষণ প্রভাবিত করে। কারণ তিনি প্রান্তিক জীবনের কথা বলেন।