এক ট্রলারে ৬০ মণ ইলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:১৭ এএম, ১৩ আগস্ট ২০২২ শনিবার
ছবি: সংগৃহীত
বঙ্গোপসাগরে বিদ্যমান লঘুচাপ ও দক্ষিণাঞ্চলের ওপর সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর কারণে সময়মত তীরে ফিরতে পারেনি 'বিসমিল্লাহ ফিশিং বোট'। বিপদ সংকেতে সমুদ্রে বৈরি আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করে ৭ দিন পর ঘাটে ফিরতে সক্ষম হয় বোটটি। সেই বোটেই মিলল ৬০ মণ ইলিশ, যা নিলামে বিক্রি হয়েছে ১১ লাখ টাকায়।
গতকাল শুক্রবার (১২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটের মেঘনা ফিশিংয়ে এসব ইলিশ বিক্রি করা হয়।
বিসমিল্লাহ ফিশিং বোটের স্বত্বাধিকারীর ও প্রধান মাঝি গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমরা সমুদ্র সংকেতের মধ্যে পড়ে যাওয়ায় তীরে আসতে পারি নাই। একদিকে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় খরচ বেড়েছে অন্যদিকে অনেক টাকা দেনা করে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছি, কিন্তু কূলে ফিরলে ঋণী হয়ে যাব এই চিন্তায় অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে সাগরে রয়ে গেছি। আলহামদুলিল্লাহ অনেক মাছ পেয়েছি। এত মাছ একসঙ্গে পেয়ে আমরা অনেক খুশি।
গোলাম কিবরিয়া আরও বলেন, আমরা ২৩ জন মাঝি ৭ দিন সমুদ্রে মাছ ধরেছি। এত মাছ হবে কল্পনাও করি নাই। আমাদের জীবন সংগ্রামী জীবন। এই নদীই আমাদের জীবন। যা মাছ পেয়েছি সব মেঘনা ফিশিং এ বিক্রি করেছি। ভালো দাম পাওয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।
মেঘনা ফিশিংয়ের ম্যানেজার মো. হাবিব ভূঁইয়া বলেন, নৌকাটির মালিক গোলাম কিবরিয়া মাঝি হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের চরচেঙা গ্রামের বাসিন্দা। সকালে বোটটি চেয়ারম্যান ঘাটে এসেছে। বিভিন্ন সাইজের মাছ ছিল। তবে বড় সাইজের ইলিশ মাছ বেশি ছিল। নিলামে দাম তুলতে তুলতে শেষ ৬০ মণ ইলিশের দাম হয়েছে ১১ লাখ টাকা।
হাতিয়া মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আক্তার হোসেন বলেন, আমাদের জেলেরা মেঘনা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু এবার মেঘনা নদীতে মাছ নেই। গভীর সমুদ্রে মাছ পাওয়া যাচ্ছে। আবার নদীতে যাওয়ার খরচ বেড়ে গেছে। আমরা দোয়া করছি যেনো নদীতে মাছ পাওয়া যায়। তাহলে জেলেরা যেমন লাভবান হবেন তেমনি ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবেন।