ঢাকা, রবিবার ১৭, নভেম্বর ২০২৪ ০:৫৫:০৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বেড়েছে বাতাসের তীব্রতা, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল 

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৩৫ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২২ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মৌসুমি বায়ুর কারণে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পাশাপাশি নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার উপকূলে বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে।

একদিকে প্রচণ্ড জোয়ার অন্যদিকে বাতাসের তীব্রতায় মেঘনা তীরবর্তী এলাকাগুলোর কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পানি ঢুকে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। গত কয়েক দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে আছে দ্বীপের কয়েক হাজার মানুষ। সড়কগুলোতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (১৫ আগস্ট) ভোর থেকে হাতিয়ায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। প্রচণ্ড বাতাসের কারণে জোয়ার বেড়ে যাওয়ায় চেয়ারম্যানঘাট, নলচিরা ঘাট ও চতলাঘাটসহ বিভিন্ন ঘাট ও ঘাটের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে।

এদিকে গত কয়েক দিনের অস্বাভাবিক জোয়ারের আঘাতে হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়নের মাইচরা, পশ্চিম সোনাদিয়া, তমরদ্দি ইউনিয়নের ক্ষিরোদিয়া এবং চরকিং ইউনিয়নের চরবগুলা গ্রামের বেড়িবাঁধের কিছু অংশ ছিঁড়ে গিয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রবল জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে চানন্দী, নলচিরা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম। সবগুলো গ্রাম প্লাবিত হয়েছে নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের। পানিবন্দি আছেন নলচিরা, ডালচর ও চরগাসিয়ার লোকজন। প্লাবিত এলাকাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

নলচিরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ইউনুছ জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সকাল থেকে বাতাসের গতি অনেক বেড়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় মাছধরা ট্রলারগুলো তীরে অবস্থান করছে। বাতাস বেশি হওয়ায় জোয়ারের মাত্রা বেড়েছে। এতে নিচু এলাকার মানুষের ঘরবাড়িতে পানি ডুকে যাচ্ছে। জোয়ার ও বৃষ্টির কারণে চরঈশ্বর ও নলচিরা ইউনিয়নের অনেক জায়গায় বেড়িবাঁধে পাটল দেখা দিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মাছধরা ট্রলারগুলোকে নিরাপদে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জোয়ারে প্লাবিত এলাকাগুলোতে ৩০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় শুকনো খাওয়ার বিতরণ করা হবে।