ঢাকা, শুক্রবার ২৯, নভেম্বর ২০২৪ ৯:৪৫:২১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

মুক্তি পেলেন পি কে হালদারের অন্যতম সহযোগীর দুই মেয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:২৮ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০২২ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংক ও আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত পি কে হালদারের অন্যতম সহযোগী পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (পিএলএফএসএল) সাবেক পরিচালক মো. খবির উদ্দিনের দুই মেয়ে, শারমিন আহমেদ ও তানিয়া আহমেদকে বুধবার রাতে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
দুই মেয়ের পরিবারের চার সদস্যের পাসপোর্ট ও দুই সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দেয়ার পর তাদের র‍্যাব হেফাজত থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চে (কোম্পানি কোর্ট) বৃহস্পতিবার দুই মেয়ের আইনজীবী মো. আবু তালেব এই তথ্য জানান।

এর আগে গত ৭ মার্চ একই বেঞ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিংয়ের ঋণখেলাপি ৬৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে তলব করেন। হাজির না হলে সেদিন তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির কথাও বলেন আদালত। ওই তালিকায় শারমিন ও তানিয়া ছিলেন। তারাসহ ৩০ ব্যক্তি হাজির না হওয়ায় গত ১৯ এপ্রিল আদালত তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন।

পরে বুধবার ভোরে রাজধানীর ধানমন্ডি ও শ্যামলী থেকে মো. খবির উদ্দিনের দুই মেয়েকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। দুপুরে তাদের হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চে হাজির করা হয়। আদালত তাদের শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিতে নির্দেশ দেন। তাদের পাসপোর্টও আদালতে জমা দেয়া হয়।

পিএলএফএসএল খবির উদ্দিনসহ তার পরিবারের ১১ সদস্যের কাছে ১৯৬ কোটি টাকা পাবে বলে দাবি করছে। এই ঋণের ৫ শতাংশ অর্থ ৩০ দিনের মধ্যে জমা দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এরপর তাদের র‌্যাব হেফাজতে নেয়া হয়।

শারমিন ও তানিয়ার আইনজীবী মো. আবু তালেব গণমধ্যমকে বলেন, ১১ সদস্যের মধ্যে দুই বোনসহ পরিবারের ছয় সদস্যের পাসপোর্ট ও দুই সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র র‍্যাবের কাছে জমা দেয়ার পর বুধবার রাতে দুই বোনকে র‍্যাব হেফাজত থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। অপর তিনজন সরাসরি খবির উদ্দিনের পরিবারের সদস্য নন, দূর সম্পর্কের আত্মীয় বলে আদালতকে জানানো হয়। আদালত এ বিষয়ে আগামী সোমবার লিখিতভাবে জানাতে বলেছেন।

বুধবার র‍্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পি কে হালদারের অন্যতম সহযোগী খবির উদ্দিন পিএলএফএসএলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত পরিচালক ছিলেন। এ সময় তিনি প্রায় ২০০ কোটি টাকা পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামে-বেনামে ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেন। পরে ২০১০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে উক্ত পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দুই নারী বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ঋণ গ্রহণের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা বলেন, বাবা খবির উদ্দিনের মাধ্যমে ঋণ নিয়েছেন তারা। প্রায় দেড় যুগ ধরে কানাডায় আছেন শারমিন ও তানিয়া। র‍্যাব জানায়, তাদের মধ্য শারমিন ৩১ কোটি ও তানিয়া ৩৩ কোটি টাকা পিপলস লিজিংয়ের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন। তারা ২৮ জুলাই বাংলাদেশে আসেন এবং বুধবার কানাডার উদ্দেশ্যে দেশত্যাগের পরিকল্পনা করছিলেন।