ঢাকা, শুক্রবার ২৯, নভেম্বর ২০২৪ ১৫:২৬:৩৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

শিক্ষকদের দেওয়া মানসিক চাপে পারপিতার আত্মহত্যার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:০৯ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২২ শুক্রবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষকদের দেওয়া মানসিক চাপে আত্মহত্যা করেছেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী পারপিতা ফাইহা, এমন অভিযোগ হলিক্রস গার্লস স্কুলের অভিভাবকদের। প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করা, খাতায় নম্বর কম দেওয়া, অভিভাবকদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহারসহ নানা অভিযোগও আছে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। তবে এসব অভিযোগ মানতে নারাজ স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, পারপিতার আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন আগামী সপ্তাহে জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী দলের প্রধান ড. রেহানা খাতুন।

গেল মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) ঢাকার ২৯ তেজগাঁও স্টেশন রোডের বাসার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে পারপিতা ফাইহা।

ফাইহার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে উঠে আসে হলিক্রস গার্লস স্কুলের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান পদ্ধতি, পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করা, প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করাসহ নানান অনিয়মের কথা।

এক অভিভাবক বলেন, বাচ্চাদেরকে টিসি দিয়ে দেয়। বাচ্চারা মানসিক বিষণ্ণতায় ভোগে। এর থেকে আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটে।

এক নারী অভিভাবক বলেন, বাচ্চাকে বলছে বাবা-মাকে নিয়ে আসতে। এ কারণে বাচ্চাটা আত্মহত্যা করেছে। বাচ্চাটা চায় নাই-তার জন্য তার বাবা-মা অপমানিত হোক।

আরেক অভিভাবক বলেন, আজেবাজে প্রশ্ন দিয়ে চাপে রাখে। না জানলে মার দেবে, টিসি দেবে, অপমান করব। এটা বাচ্চাদের জন্য লজ্জাজনক।

হলিক্রসের এক শিক্ষার্থী জানান, পারপিতা ফাইহার মৃত্যুকে ঘিরে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে পারে এমন আশঙ্কায় সরকারি ছুটিসহ আরও দুইদিন স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

হলিক্রস গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শ্রেণি শিক্ষক (নবম) রোকেয়া বেগম বলেন, এ কথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমাদের স্কুলের পুরোনো মেয়েরা আছে, অভিভাবকরা আছে, সবাইকে জিজ্ঞেস করে দেখবেন-এমনকি দশম শ্রেণিতে টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করেছে, আমরা ওদের দুই থেকে চারটা পর্যন্ত মডেল টেস্ট নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত পাস না করে আমরা বোর্ডে পাঠানোর আগ পর্যন্ত পরীক্ষা নিতেই থাকি।

আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর-ডিআইএ। হলিক্রস গার্লস স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রমে নানা অনিয়ম পাওয়ার ইঙ্গিত দেন তদন্তকারী দলের প্রধান ড. রেহানা খাতুন।

তিনি বলেন, কোনো কারণে এই আত্মহত্যাকে প্ররোচিত করা হয়েছে কি না, সে কারণে আমরা...এখন মনে হচ্ছে কিছু বলা ঠিক হবে না। আমরা অল্প সময়ের মধ্যে এটা (তদন্ত) শেষ করে দেব। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করব। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এটা দেওয়ার চেষ্টা করব।