ঢাকা, শুক্রবার ৩১, জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪৩:৪২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

‘অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি প্রয়োজন’

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:২০ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

‘বিশ্বজুড়ে জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নকে গুরুত্ব দিয়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। এর ফলে নারীর অগ্রগতি ত্বরান্বিত হচ্ছে। কিন্তু গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট অনুসারে এখনো সমতা প্রতিষ্ঠায় নানা বৈষম্য আছে। সমতা প্রতিষ্ঠা করতে হলে অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণবৃদ্ধি, রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, বৈষম্যমুক্ত পলিসি, জেন্ডার ডিসএগ্রিডেটেড ডাটা তুলে ধরার বিষয়ে জোর দিতে হবে। এ বিষয়গুলো বাস্তবায়নে সিডও কমিটি বারংবার গুরুত্বারোপ করছে, আমাদের এবিষয়ে কাজ করতে হবে।’ শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ‘জাতিসংঘ সিডও কমিটির সমাপনী মন্তব্য (২০১৬) : বাস্তবায়ন পর্যালোচনা’ বিষয়ক কনসালটেশন সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউএন ইউমেন বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ গীতাঞ্জলী সিং এসব কথা বলেছেন।
নারীবাদি সংগঠন ‘বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ’ আয়োজিত (সিইডিএডব্লিউ) কনভেনশন অন দ্য ইলিমিন্যাসন অব অল ফর্ম অব ডিসক্রিমিনেশন (সিইডিএডব্লিউ) পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষিয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল এবং বিশেষ অতিথি  হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, আজ আন্তর্জাতিক সিডও দিবস। সিডও সনদ সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার সম্পূরক হিসেবে স্বীকৃত হলেও এই সনদ বাস্তবায়নে এখনো চ্যালেঞ্জ আছে। সরকার কর্তৃক নারী বানধব নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও সিডও সনদের ২নং ধারা অনুমোদনের কোন পদক্ষেপ নেই। সিডও কে এখনো নারীর জন্য কল্যাণমূলক এ্যাপ্রোচ হিসেবেই দেখা হচ্ছে অধিকার হিসেবে নয়। ৫০ বছরে নারীর প্রতি বৈষম্যের মূল কারণ চিহ্নিত করতে পারা একটা অর্জন  তিনি এসময় নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা এজেন্সি কে অধিকার হিসেবে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।

স্বাগত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, ‘নারীর মানবাধিকার দলিল হিসেবে সিডও সনদ ১৯৭৯ সালে গ্রহণ করে জাতিসংঘ। বাংলাদেশ সরকার ৪টি ধারার উপর সংরক্ষণ রেখে সিডও সনদ স্বাক্ষর করে। পরবর্তীতে নারী আন্দোলনের ফলে সরকার ২টি ধারার উপর সংরক্ষণ প্রত্যাহার করে। সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া সত্বেও সিডও প্রতিবেদনে সংরক্ষণ প্রত্যাহারে সরকারের কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায় না। তিনি সনদের সংরক্ষণ প্রত্যাহার করে পূর্ণ অনুমোদনের জন্য  সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার উপর জোর দেন।’

এছাড়াও সভায় নাগরিক সমাজের বিভিন্ন সংগঠনের উপস্থিত প্রতিনিধিরা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন।