ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬, নভেম্বর ২০২৪ ০:২২:৪২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

কিংবদন্তি শিল্পী আশা ভোঁসলের জন্মদিন আজ

বিনোদন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:৪৬ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

উপমহাদেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী আশা ভোঁসলের জন্মদিন আজ ৮ সেপ্টেম্বর। ১৯৩৩ সালের এদিনে মহারাষ্ট্রের সাংলিতে মঙ্গেশকর পরিবারে জন্ম তার।

মাত্র ৯ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়ে পরিবারের সঙ্গে চলে আসেন পুনে থেকে কোলহাপুরে এবং পরবর্তী সময়ে মুম্বাইয়ে। ১৯৪৩ সালে জীবনে প্রথমবার কোনও সিনেমার জন্যে গান তিনি। মরাঠি সিনেমা মাঝা বাল-এর চালা চালা নভ বালা গানটি শোনা যায় আশার গলায়। হিন্দি সিনেমার জগতে তার পা রাখা ১৯৪৮ সালে হংশরাজ বেহলের সিনেমা চুনারিয়া দিয়ে। তবে হিন্দি সিনেমাতে তার প্রথম একক গান শোনা গিয়েছিল ১৯৪৯ সালে মুক্তি পাওয়া রাত কি রানি-তে।

১৯৫০ সাল থেকে হিন্দি সিনেমার জগতে ধীরে ধীরে শুরু হয় আশা ভোঁসলেও উত্থান। ৫০, ৬০, ৭০,৮০ এবং ৯০-এর দশকে শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালকদের সঙ্গে একের পর এক হিট গান উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের।

বাংলাদেশের তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়। বাংলাদেশের ঘরে ঘরে তার জনপ্রিয় বাংলা ও হিন্দি গানগুলো নিয়মিত বাজে।

১৯৪৩ সাল থেকে আরম্ভ করে তিনি ষাট বছরেরও বেশি সময় ধরে গান গেয়ে চলেছেন। তিনি তার সঙ্গীত জীবনে মোট ৯২৫টিরও বেশি সিনেমায় গান গেয়েছেন। মনে করা হয় তিনি ১২০০০ এরও বেশি গান গেয়েছেন। ২০১১ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাকে সর্বাধিক সংখ্যক গান রেকর্ডকারী হিসেবে ঘোষণা করেন। ভারত সরকার তাকে ২০০৮ সালে পদ্মভূষণ উপাধিতে ভূষিত করে।

তার বড় বোন হচ্ছেন তার মতই আরেক জনপ্রিয় গায়িকা লতা মঙ্গেশকর। খ্যাতিমান গায়ক এবং সুরকার শচীন দেব বর্মনের পুত্র ও বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক এবং সুরকার রাহুল দেব বর্মন ছিলেন তার স্বামী।

তার গায়িকা জীবনকে খতিয়ে দেখলে চারটি সিনেমাকে চিহ্নিত করা যায় তার কেরিয়ারের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃত। এ ছবিগুলো হলো: নয়া দৌড় (১৯৫৭), তিসরি মঞ্জিল (১৯৬৬), উমরাও জান (১৯৮১) এবং রঙ্গীলা (১৯৯৫)।

আশা ভোঁসলে বাংলা সিনেমার জন্য বহু ছবিতে নেপথ্য কণ্ঠ দিয়েছেন। এছাড়া তিনি বাংলা আধুনিক গান এবং রবীন্দ্রসঙ্গীতও গেয়েছেন।

১৯৭৭ সাল পর্যন্ত আশা ভোঁসলে সাতবার ফিল্মফেয়ার সেরা নেপথ্য গায়িকার পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৭৭ সালের পর তিনি জানান যে তার নাম যেন আর ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের জন্য গণ্য করা না হয়। ২০০১ সালে তিনি 'ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা পুরস্কার' পান।

সঙ্গীতজীবনে দীর্ঘ ৫ দশক সেরা শিল্পীর দৌড়ে ছিলেন এই দুই বোন। ১৯৫৭ সালে নয়া দৌড়, আশা, নবরঙ্গ, মাদার ইন্ডিয়া, দিল দেকে দেখো, পেয়িং গেস্ট প্রমুখ চলচ্চিত্রে একেরপর এক হিট গান গেয়ে লতাকে হটিয়ে রাতারাতি বলিউডের শীর্ষস্থান পেয়ে যান আশা। ১৯৫৮ সালে হাওড়া ব্রিজ, কাগজ কে ফুল, ফাগুন প্রমুখ ছবির মাধ্যমে জয়যাত্রা অব্যাহত রাখেন।