প্রাণ ফিরেছে এক ডেমুর, ১৪টি অনুমোদনের অপেক্ষায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৮:০৭ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে লাল-সবুজের মাঝে সাদা রঙের ২০ সেট ডিজেল-ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট অর্থাৎ ডেমু ট্রেন যুক্ত হয়েছিল ২০১৩ সালে। দু’দিকে ইঞ্জিন আর মাঝে একটি ক্যারেজের দৃষ্টিনন্দন ট্রেনগুলো দেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। তবে, বছর পাঁচেক না যেতেই চীনা প্রযুক্তির দৃষ্টিনন্দন ট্রেনগুলো মানুষের দৃষ্টির বাইরে চলে যায়। স্থান হয় ঢাকা ও চট্টগ্রামের ওয়ার্কশপে। অবশেষে ট্রেনগুলো আবারও মানুষের দৃষ্টিগোচর হচ্ছে।
মূলত, ডেমু ট্রেন মেরামতের জন্য ওয়ার্কশপ না থাকা, এতে ব্যবহার করা মডিউলের সফটওয়্যার সেটআপ দেওয়া সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকাসহ নানা কারণে ২০১৩ সালে চালু হওয়ার পাঁচ বছর পর অর্থাৎ ২০১৮ সাল থেকে একটার পর একটা অকেজো হতে থাকে ডেমু ট্রেন। পরে বাংলাদেশ রেলওয়ে চীনা প্রযুক্তির ডেমু ট্রেনগুলো চালুর উদ্যোগ নিলে দেখা যায় যে পরিমাণ টাকা দিয়ে ট্রেনগুলো কেনা হয়েছে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ তার চেয়ে অনেক বেশি। তাই তখন কিছুটা পিছপা হয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। তবে, সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে ২০২২ সালে এসে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) মো. মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী ট্রেনগুলোকে সচল করতে দেশীয় প্রকৌশলীদের শরণাপন্ন হন। এগিয়ে আসেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক শিক্ষার্থী ও আনবিক শক্তি কমিশনের সাবেক কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান।
খোলস ঠিক রেখে দেশীয় প্রযুক্তিতে ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম বদলে আবারও সচল করা হয়েছে অকেজো একটি ট্রেন। এতে নতুন সম্ভাবনা দেখছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ইতোমধ্যে ডেমু ট্রেনের একটি সেট সম্পূর্ণভাবে ট্রায়াল রান শেষ করে পার্বতীপুরে প্রস্তুত হয়েছে যাত্রী পরিবহনের জন্য। খুব শিগগিরই এটি যাত্রী পরিবহনের বহরে যুক্ত হবে
তিনি ডেমু ট্রেন নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। মাত্র দেড় বছরের চেষ্টায় চীনা প্রযুক্তি ফেলে, দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি ডেমু ট্রেন সচলও করেন। আসাদুজ্জামানকে সহযোগিতা করেন, প্রকৌশলী আজিম বিশ্বাসসহ পার্বতীপুর ডিজেল লোকোমোটিভ ওয়ার্কশপের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
খোলস ঠিক রেখে দেশীয় প্রযুক্তিতে ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম বদলে আবারও তারা সচল করেন অকেজো একটি ট্রেন। এতে নতুন সম্ভাবনা দেখছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ইতোমধ্যে ডেমু ট্রেনের একটি সেট সম্পূর্ণভাবে ট্রায়াল রান শেষ করে পার্বতীপুরে প্রস্তুত হয়েছে যাত্রী পরিবহনের জন্য। খুব শিগগিরই এটি যাত্রী পরিবহনের বহরে যুক্ত হবে— প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের। এর বাইরে দুটি ডেমু ট্রেন ঢাকায় এবং তিনটি চট্টগ্রামে চালু আছে। ট্রেন দুটি আংশিক সংস্কার করেই চালানো হচ্ছে। বাকি ১৪টি ডেমু ট্রেনের কী হবে— এমন প্রশ্ন এখন সবার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অকেজো একটি ডেমু ট্রেন থেকে চীনা প্র
যুক্তি ফেলে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এখন সেটি যাত্রী পরিবহনের জন্য প্রস্তুত। বর্তমানে সেটি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বাকি ডেমু ট্রেনগুলোর মূল্যায়ন করা হচ্ছে। মূল্যায়ন শেষে প্রস্তাব আকারে বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তারা অনুমোদন দিলে ট্রেনগুলোর সংস্কার কাজ শুরু হবে।