ঢাকা, শুক্রবার ৩১, জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৫৬:২৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

দুই জেলায় ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি 

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:২০ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ রবিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার গোবিন্দনগর ইক্ষুখামার রোড এলাকায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গুদাম ঘরে আটকে রেখে নবম শ্রেণীর স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ এবং মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলায় বাসা ভাড়া খুঁজতে গিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। একইসঙ্গে এসব ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।

রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো নারীবাদি সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখ ওই স্কুলছাত্রী তার গ্রামের বাড়ি থেকে ঠাকুরগাঁও কারাগারে বাবা ও ভাইকে দেখার উদ্দেশ্যে বালিয়াডাঙ্গী সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় ওঠে। এ সময় বালিয়াডাঙ্গীর বেলসাড়া গ্রামের পূর্বপরিচিত বাবলু, তালেব, আসলামসহ পাঁচজনের একটি দল অটোরিকশাটিতে উঠে পড়ে। অটোরিকশাটি ঠাকুরগাঁও শহরের গোবিন্দনগর ইক্ষুখামার রোড এলাকায় পৌঁছলে ওই পাঁচজন মিলে কিশোরীর পেটে ধারালো ছুরি ধরে তাকে একটি গুদাম ঘরে আটকে রাখে এবং দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই স্কুলছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তারা তাকে মৃত ভেবে গোবিন্দনগর ইক্ষুখামারের রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে পথচারীরা তাকে দেখতে পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল ভর্তি করে।

মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলায় বাসা ভাড়া খুঁজতে গিয়ে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার তরুণী ঢাকার একটি বিউটি পার্লারে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তিনি এলাকায় ফিরে নিজে একটি বিউটি পার্লার দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখ ধল্লা এলাকায় ওই তরুণী একটি বাসা ভাড়া নেন। কিন্তু ব্যাচেলর হওয়ায় বাড়ির মালিক তাকে বাসা ভাড়া দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন। এরপর নতুন বাসা খুঁজছিলেন তিনি। গত ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখ ওই এলাকার মনির হোসেন, আনিছ ও ফুলচান মিয়া তাকে বাসা দেখানোর কথা বলে একটি ফাঁকা স্থানের পরিত্যক্ত একটি ঘরে নিয়ে তাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ওই তরুণীর বাবা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে নারী ও কন্যার প্রতি দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাসমূহ উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়, নারী ও কন্যাশিশুরা ঘরে-বাইরে চরমভাবে নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন। যা নারীর স্বাধীন চলাচল ও কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এই অবস্থা থেকে উত্তরনের লক্ষ্যে দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণে আশু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। একইসঙ্গে এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়ে যথাযথ দায়িত্ব পালনের দাবিও জানানো হয়েছে।