বৃষ্টি থাকবে আরও দুইদিন
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৯:০৩ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার
ছবি: সংগৃহীত
সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। পরবর্তী তিন দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে।
আজ সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝাড়ো হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে । সেইসাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরণের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় খেপুপাড়ায় সর্বোচ্চ ১১৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়াও কক্সবাজারে ৮৭, ইশ্বরদীতে ৭২, মংলায় ৭০, পটুয়াখালীতে ৬৭, কুতুবদিয়ায় ৬৬, তাড়াশ ৬২, ফেনী ৫৮, রাজশাহীতে ৫৪, বদলগাছী ৫৩, হাতিয়ায় ৪৯, মাদারীপুর ৪৮, টেকনাফে ৪৭, সাতক্ষীরা ৪৬, সীতাকুন্ডে ৪৩ ও মাইজদীকোর্টে ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঢাকায় ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় বলে আবহাওয়া অফিস জানায়।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, ভারতের দক্ষিণ মধ্যপ্রদেশ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরতস্থল নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ হিসেবে বর্তমানে এটি মধ্যপ্রদেশের মধ্যাঞ্চল ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম উত্তরপশ্চিম দিকে সরে গিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় গভীর সঞ্চারনশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, উড়িষ্যা, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত । মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোতে আজও তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পূর্ণিমা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে ।
এছাড়া শ্রীমঙ্গল ও ডিমলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন ২২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬ টা ৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫ টা ৪৪ মিনিটে।