ঢাকা, সোমবার ২৫, নভেম্বর ২০২৪ ৮:০০:২৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

সৈয়দ শামসুল হকের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:০১ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আজ ২৭ সেপ্টেম্বর, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। খ্যাতিমান এ লেখক ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

সৈয়দ শামসুল হক ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম জেলা শহরের থানা পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন ও মা হালিমা খাতুন। বাবা পেশায় ছিলেন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। সৈয়দ হক তার বাবা-মায়ের আট সন্তানের মধ্যে সবার বড়।

বাংলা সাহিত্যের সব শাখায় সমানভাবে পদচারণার জন্য সৈয়দ শামসুল হক সব্যসাচী লেখক হিসেবে ১৯৬৪ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন। এ পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে কম বয়সে এটি অর্জন করেন। এছাড়া, তিনি একুশে এবং স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন।

১৯৫০ এর দশকে প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস ‘দেয়ালের দেশ’। এছাড়া, তার লেখা অন্যান্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে- খেলারাম খেলে যা, নিষিদ্ধ লোবান, সীমানা ছাড়িয়ে, নীল দংশন, বারো দিনের জীবন, তুমি সেই তরবারী, কয়েকটি মানুষের সোনালী যৌবন ও নির্বাসিতা অন্যতম।

তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে- একদা এক রাজ্যে, বৈশাখে রচিত পঙক্তিমালা, পরানের গহীন ভিতর, অপর পুরুষ, অগ্নি ও জলের কবিতা। পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় ও নুরুলদীনের সারা জীবন সৈয়দ শামসুল হকের বিখ্যাত কাব্যনাট্য।

মুক্তিযুদ্ধের আগ পর্যন্ত তিনি বেশ কিছু সিনেমার চিত্রনাট্য লিখে সুনাম কুড়িয়েছেন। যেমন- মাটির পাহাড়, তোমার আমার, কাঁচ কাটা হীরে, বড় ভালো লোক ছিল ইত্যাদি। তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও লাভ করেন।

১৯৭১ সালের নভেম্বরে তিনি লন্ডন চলে যান। সেখানে বিবিসির বাংলা খবর পাঠক হিসেবে চাকরি করেন। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের খবর পাঠ করেছিলেন তিনি।