ঢাকা, শনিবার ১৬, নভেম্বর ২০২৪ ২২:২০:৫০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

শরতের শুভ্রতায় সেজেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:০৮ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

শরতের আগমনে বর্ষা ঋতুকে বিদায় জানিয়ে কাশফুল, স্বচ্ছ নীল আকাশে সাদা মেঘ আর মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। আকাশের সাদা মেঘের সঙ্গে কাশফুলের মৃদু বাতাসে দোল খাওয়া প্রকৃতিতে শুধুই মুগ্ধতা ছড়ায়। এগুলো শুনলেই মনের আঙ্গিনায় ভেসে উঠে শরৎকালের নাম। 

নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা শরৎ ছাড়া আর কে ভাসাতে পারে? তাইতো শরতের বন্দনায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিমোহিত হয়েছেন বারবার। তবে শরৎতের সবচেয়ে বড় অনুষঙ্গ কাশফুল। আর সেই শরতের শুভ্র সাদা কাশফুলে সেজেছে পাহাড় ঘেরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। নীল আকাশের নিচে সাদা কাশফুল যখন বাতাসের দোলায় দুলতে থাকে তখন মনটাও যেন আন্দোলিত হয়। মনে হয় শ্বেত বসনা এক ঝাঁক তরুণী যেন নৃত্য করছে।

এভাবেই লাল-সবুজে পাহাড়ঘেরা ও প্রাকৃতিক সৌন্দযের ভরপুর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন মাথা উঁচু করে দোল খাচ্ছে শুভ্র সাদা এ কাশফুল। সেখানে প্রকৃতির নিয়মেই যেন তৈরি হয়েছে কাশফুলের বাগান। আর এ নজর কারা কাশ ফুলের হাতছানি মানুষের মনকে ভীষন ভাবে কাশ ফুলের দিকে টেনে নিয়ে যায়। এজন্য এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে আনাগোনা বাড়ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মাঝে। 

বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষার্থী খুসবু মেহজাবিন বলেন, শরৎ সেজেছে কাশফুলে থরে বিথরে বালুচরে! সাদা মেঘের শতদল উড়ছে অপরূপা নীলাম্বরে! 

ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। দুই মাস পর পরই আমাদের দেশে ঋতুর পরিবর্তন হয়। এ ঋতু পরিবর্তনে এখন বইছে শরৎকাল। নাগরিক কোলাহল আর যাপিত জীবনের নানা ব্যস্ততার মাঝে চুপিচুপি আসে শরৎ। আর প্রকৃতিতে যখন শরৎকাল আসে তখন কাশফুলই জানিয়ে দেয় শরতের আগমনী বার্তা। শরতের বিকেলে নীল আকাশের নিচে দোলা খায় শুভ্র কাশফুল।

কাশফুলের ইংরেজী নাম Kans Grass  ও উদ্ভিদতাত্ত্বিক বৈজ্ঞানিক নাম Saccharum Sportaneum। এটি ঘাসজাতীয় জলজ উদ্ভিদ। কাশফুলের মঞ্জুরি দন্ড ১৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার লম্ব হয়ে থাকে, বীজে সুক্ষ্ম সাদা লুম থাকে। কাশ উদ্ভিদ প্রজাতির, উচ্চতায় তিন মিটার থেকে পনের মিটার লম্বা হয়ে থাকে। আর শেকড় গুচ্ছমূল থাকে। পাতা রুক্ষ ও সোজা।