দ্বিতীয়বার ধর্ষণ, বিচার না পেলে মেয়েসহ আত্মহত্যার হুমকি মায়ের
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৮:৩২ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার
ফাইল ছবি
দ্বিতীয়বারের মতো ধর্ষণের শিকার হয়েছে প্রতিবন্ধী কিশোরী। প্রথম মামলার সাক্ষী শহিদুল ইসলাম দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করে তাকে। প্রথম এবং দ্বিতীয় মামলার বিচার না পেলে মেয়েসহ আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তার মা। বৃহস্পতিবার বিকালে বরিশাল রিপোটার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে এ হুমকি দেন ভুক্তভোগীর মা।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর সকালে তার স্বামী কৃষিকাজ করার জন্য মাঠে যান। তিনি যান বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এ সময় তার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়ে ঘরে একা ছিল। বাড়িতে ফিরে এসে জানেন একই প্রতিবেশী শহিদুল ইসলাম তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রতিবেশী দেলোয়ার খান কালুকে জানান তিনি। শহিদুল ইসলাম ধর্ষণের কথা কালুর কাছে স্বীকার করে তার ঘরে এসে পা ধরে মাফ চায়।
তিনি জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করার জন্য থানায় গেলে আসামির পরিবার প্রথম পর্যায়ে মামলা না করার জন্য হাত-পায়ে ধরে অনুরোধ করে। পরবর্তীতে মামলা করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয় শহিদুলের ভাই বাবুল।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানান, ৩ বছর আগে ধর্ষণ মামলার স্বাক্ষী শহিদুল ইসলাম। ওই মামলায় আদালতে স্বাক্ষ্য না দিয়ে মামলা হালকা করে দেয়ারও হুমকি দিয়েছে বাবুল। তারপরও তিনি (কিশোরীর মা) বাদী হয়ে বাবুগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। একাধিকবার ধর্ষণের শিকারের মামলার সঠিক বিচার না পেলে কন্যাসহ আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান জানান, মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামি পলাতক। তবে আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
জনতারকণ্ঠ//এলএইচ//
সিএনএসডটকম//এল//
চিত্রদেশ//এফটি//
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//
আমিও বিদেশি ক্লাবে খেলবো : সাফজয়ী স্বপ্না
সাফ জয়ের ১০ দিন পর রংপুরে ফিরে খুশির সংবাদ জানিয়েছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের অন্যতম খেলোয়াড় সিরাত জাহান স্বপ্না। বিদেশি ক্লাবে খেলার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে তারকা এই খেলোয়াড় বলেন, রংপুরের মানুষ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে দেখে আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি। এভাবে বরণ করে নেওয়া আমাকে সামনে ভালো করার জন্য অনুপ্রাণিত করবে।
স্বপ্না আরও বলেন, বিদেশি ক্লাবে খেলার জন্য মৌখিকভাবে ৭ জনকে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে আমার নামও রয়েছে। আমিও বিদেশি ক্লাবে খেলবো ইনশাআল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে বিমানযোগে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান সাফজয়ী ফুটবলার সিরাত জাহান স্বপ্না, সোহাগী কিসকো ও স্বপ্না রানী রায়। সেখানে তাদেরকে ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তারা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
এ সময় সিরাত জাহান স্বপ্না সাংবাদিকদের বলেন, যখন আমি প্রথম ফুটবল খেলা শুরু করেছিলাম, তখন এলাকার অনেকে বাধা সৃষ্টি করেছিল। আমাদের সমাজের পুরুষেরা চায় মেয়েরা একটু পিছিয়ে থাক। এখন আমার সাফল্যে তারাও আনন্দ প্রকাশ করছে। পরিবর্তন শুরু হয়েছে। সামনে আমাদের আরও ভালো করতে হবে।
অপর সাফজয়ী খেলোয়াড় স্বপ্না রানী রায় বলেন, শিরোপা ঘরে আনতে পেরে আমরা গর্ববোধ করছি। দেশের সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আরও ভালো কিছু করতে সবার সাপোর্ট চাই।
ঠাকুরগাঁওয়ের এই ফুটবলকন্যা আরও বলেন, ফুটবল খেলার শুরুতে অনেক বাধা এসেছে। হাফ প্যান্ট পরে মেয়েরা ফুটবল খেলছে বলে গ্রামের মানুষেরা কটূক্তি করেছে। এতেও আমরা থেমে থাকিনি। স্কুলপর্যায়ে খেলার সময় স্যারেরা অনেক সাপোর্ট করেছে। এখন সবাই উৎসাহ দিচ্ছে।
নারী ফুটবলার সোহাগী কিসকু বলেন, সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গোটা দেশের মানুষ আমাদের চিনেছে। আমরা চাই গ্রামের নারী ফুটবলাররা যেন গ্রামে খেলার সুযোগ পায়।
এ সময় বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মঞ্জুর আহম্মেদ আজাদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববি, ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদার রহমান মিলন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজলী বেগম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি, স্বপ্নার প্রথম ফুটবল প্রশিক্ষক হারুন অর রশিদসহ রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা এবং ক্রীড়ানুরাগী সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিমানবন্দরে বরণের পর ছাদখোলা জিপ গাড়িতে সিরাত জাহান স্বপ্নাসহ তিন সাফজয়ী নারী ফুটবলারকে রংপুর নগরী প্রদক্ষিণ করানো হয়। এরপর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে তাদের সংবধর্না দেবে জেলা প্রশাসন, জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা। বিকেলে সদর উপজেলার সদ্য পুস্করনী নয়াপুকুর স্টেডিয়ামে স্বপ্নাকে সংবর্ধনা প্রদানসহ প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।