ঢাকা, শনিবার ১৬, নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৪৯:৩৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বুড়িচংয়ে বিলে তিন রঙের পদ্মফুলের মোহনীয় রূপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:২৬ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০২২ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার প্রত্যন্ত দক্ষিণগ্রাম। ওই গ্রামের বিলে তিন রঙের পদ্মফুল তার রূপের পসরা মেলে বসেছে। গোলাপি, সাদা ও হলুদ পদ্মের মোহনীয় রূপ দেখতে বিলে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। পদ্মের মধ্যে হলুদ পদ্ম বিরল প্রজাতির বলে অভিমত গবেষকদের। 

স্থানীয় সূত্র মতে, আগে এখানে মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে বা পানিতে ভিজে পদ্ম ফুল দেখতে হতো। এখন বাণিজ্যিক নৌকার ব্যবস্থা রয়েছে। ২০টি নৌকায় প্রতিদিন কয়েকশ’ দর্শনার্থী পদ্ম ফুল দেখতে আসেন। তবে শুক্রবার ও শনিবার ছুটির দিনে দর্শনার্থীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যায়। 

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দল বেঁধে তরুণরা এবং কয়েকটি পরিবার নৌকা চড়ে পদ্ম ফুল দেখছেন। পদ্ম পাতায় পানি ওঠে তা বাতাসে টলমল করছে। কখনও নৌকার গতিতে পদ্ম পাতায় ছোট মাছ ওঠে পড়ছে। মাছরাঙা আর ফিঙে পাখিকে মাছ আর পোকা ধরার অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। পদ্মের সাথে অপরিচিত নানা ফুলও দেখা যায়। পদ্ম বিল দর্শনকে কেন্দ্র করে এখানে চা-চটপটিসহ বিভিন্ন দোকানের পসরা বসেছে। গ্রামের মেঠোপথে দর্শকদের নিয়ে আসা বিভিন্ন পরিবহনের সারিও দেখা যায়। জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ বাইরের লোকজনও আসছেন পদ্ম ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। ফুল না ছিঁড়তে মাঠে সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়ার আহবান সচেতনদের। 

দক্ষিণগ্রামের জাহিদ হাসান বাসসকে জানান, মাঠের এই অংশটি নিচু। বছরের আট মাস এখানে পানি থাকে। আগেও এখানে পদ্ম ফুল ফুটতো। গত তিন বছর ধরে বেশি ফুল ফুটেছে। বহু দূর দূরান্ত থেকে পদ্মফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসেন দর্শনার্থীরা। 

নৌকার মাঝি মহিউদ্দিন বলেন, প্রতিজন ৫০টাকা করে তারা নৌকা তোলেন। দিনে তাদের ৭/৮শ’ টাকা আয় হয়। ছুটির দিনে তা দুই হাজারও ছাড়িয়ে যায়। বিলের জমির মালিকদের তারা প্রতিজন প্রতিদিন এক নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দেন বলেও তিনি জানান। 

এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা বানিন রায়  বলেন, দক্ষিণগ্রামের পদ্মবিলে ৫০ একরের মতো জমি রয়েছে। তার মধ্যে ১০/১২ একর জমিতে পদ্ম ফুল ফোটে। শুষ্ক মৌসুমে এখানে বোরো আবাদ হয়। কিছু জমিতে রোপা আমনও চাষ হয়। পদ্মবিলে মানুষের ভিড় লেগে থাকে। এতে মানুষের সময় কাটানোর সাথে স্থানীয়দের আয়ের সুযোগ হয়েছে।