ঢাকা, বুধবার ১২, মার্চ ২০২৫ ২২:৪৫:২১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যান্সার শনাক্তে ৯০ শতাংশ মৃত্যুঝুঁকি কমে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:০৯ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০২২ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

‘স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে, এগিয়ে চলি একসাথে’ স্লোগান নিয়ে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস উপলক্ষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২২ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুই নম্বর গেট থেকে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস উপলক্ষে একটি র‍্যালি বের হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মিলন অডিটোরিয়ামে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ও রেডিওথেরাপি বিভাগ এ সভার আয়োজন করে।

স্বাগত বক্তব্যে ঢামেক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সালমা সুলতানা বলেন, স্ক্রিনিং ছাড়া স্তন ক্যান্সার নির্ণয় করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যান্সার শনাক্ত হলে ৯০ শতাংশ মৃত্যুঝুঁকি কমে।

তিনি বলেন, মানুষ যদি সুবিধা না পায় তাহলে এই প্রোগ্রাম করা বা এই সচেতনতার অনুষ্ঠানগুলো করার আসলে কোনো মূল্য থাকবে না। স্তন ক্যান্সার একটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা। আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান করার উদ্দেশ্যই হলো মানুষকে সচেতন করা। লজ্জা না পেয়ে আপনারা স্ক্রিনিং করুন। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত করা সম্ভব। এতে মানুষের মৃত্যুঝুঁকি কমে।


ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, আপনারা জানেন আমাদের কোভাল্ড মেশিন নষ্ট থাকত, ভালো থাকত। সেখান থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারছি। এই মেশিনটি ইন্ডিয়া মেইনটেনেন্স করত। তারা চালু করে দিয়ে গেলে এক সপ্তাহ চালু থাকত, আবার তিন মাস বন্ধ থাকত। এই মেশিনটি কানাডার তৈরি। আমরা কানাডার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি তারা আমাদের এটি পরিচালনায় সহযোগিতা করছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি গরিব অসহায় দুস্থদের কেমোথেরাপিগুলো দেওয়ার জন্য। স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করা সম্ভব। প্রাথমিকভাবে ধরা পড়লে চিকিৎসায় ভালো হওয়া সম্ভব বলে জানান তিনি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালুকদার বলেন, ক্যান্সারের যে অপচিকিৎসা কবিরাজি বা অন্যান্য সেগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য মানুষকে সচেতন করা।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি মানুষকে সচেতন করার জন্য। যাতে তারা স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারেন। টেকনোলজিস্টের কথা বলা হয়েছে সেগুলো নিয়োগের বিষয়ে কাজ চলছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা সবাইকে বলেছি স্ক্রিনিংয়ের প্রোগ্রাম করার জন্য। এটা ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকেই শুরু হবে। ঢাকা মেডিকেলে সার্জারি ও রেডিও থেরাপি বিভাগকে যা যা সহায়তা করা দরকার সেটা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে করা হবে বলে জানান তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, আমাদের দেশে ৫০ বছর পার হলেই স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। স্তন ক্যান্সার একটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা। এটি একটি পরিবারকে সর্বস্বান্ত করে দেয়। আপনারা স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করুন। পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করুন। স্ক্রিনিং করুন, যাতে করে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে আগেই আপনি মুক্ত থাকেন।

তিনি আরও বলেন, সামাজিকভাবে বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ ও সাংবাদিকদের প্রচারের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। এটার জন্য আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে যে ধরনের সহযোগিতা করা দরকার সেটি আমরা করবো।