ঢাকা, শুক্রবার ২৯, নভেম্বর ২০২৪ ৪:৪৭:১৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

প্রেসক্লাবের সামনে গায়ে কেরোসিন ঢেলে মা-মেয়ের আত্মহত্যার চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৫:৩২ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০২২ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক নারী ও তার মেয়ে। এ সময় উপস্থিত জনতা তাদের বাধা দেয়। পরে পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যার চেষ্টাকারীরা হলেন- শিরিন আক্তার (৩৫) ও তার মেয়ে শামীমা আক্তার (১৬)।

এ সময় ওই নারীর ছেলে জহির খান (১০) ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার বরফা এলাকায়। 

আত্মহত্যার চেষ্টাকারী শিরিন আক্তার জানান, নিজের জমি ও বাড়ি রক্ষার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তিনি। আগেও তিনি কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তার দাবি, দুদিন আগেও তিনি গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।

ওই নারী বলেন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার বরফা এলাকায় তিনি আট বছর আগে জমি কিনে বাড়ি করেছেন এবং সেখানে বসবাস করছেন। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হান্নান দীর্ঘদিন ধরে তাকে বাড়ি ছাড়তে চাপ দিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘হান্নান আমার নামে মামলা করেছে এবং হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। গত দুই মাস ধরে আমাকে বাড়িতে যেতে দিচ্ছে না।’

‘আমার স্বামী অসুস্থ। তিনি এসব যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি এখন কোথায় আছেন আমি জানি না’, বলেন এই নারী।

স্থানীয় মানুষ ও প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন জানিয়ে শিরিন আক্তার বলেন, ‘পুলিশকে জানালে তারা সহযোগিতা করছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে পেরে উঠছে না। হান্নান আমাদের আর বাড়িতে না যেতে বলছে। জমির দলিলপত্র সব দিয়ে দিতে বলছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো উপায় না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছি। আমার আর কোনো উপায় নেই। আমার মেয়েটার ব্রেনে সমস্যা।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জাতীয় প্রেসক্লাবে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোয়েন বলেন, ‘জমিজমার জেরে শিরিন নামের এক নারী ও তার মেয়ে এখানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আমরা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’