দারিদ্র্যতাকে জয় করেছেন জয়পুরহাটের রোকেয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৭:৩৮ পিএম, ৩ নভেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার
ফাইল ছবি
পেকিন হাঁস পালনের খামার করে দারিদ্র্যতাকে জয় করেছেন জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল বাঘোপাড়া গ্রামের রোকেয়া বেগম।
সরকারের আয় বর্ধনমূলক নানা কাজে অংশগ্রহণ করে সফলতায় এগিয়ে যাচ্ছেন এখন গ্রামীণ নারীরা।
বাঘোপাড়া ঘুরে সফল হাঁস খামারী রোকেয়া বেগমের জানান, স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এ্যাহেড সোস্যাল অর্গানাইজেশনের (এসো) সহযোগিতায় ৫০ টি পেকিন নিয়ে ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু করেন হাঁস পালন। সেই সঙ্গে সংস্থার পক্ষ থেকে দেওয়া হয় খাদ্য সহায়তাও। প্রথমে ঋণ প্রদান করা হয় ২০ হাজার টাকা। বর্তমানে রোকেয়া বেগমের মূলধনের পরিমান হচ্ছে ৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। দু:খের সংসারে এখন সুখের বাতাস। একমাত্র ছেলে রাকিবুল ইসলাম অনার্স ১ম বর্ষে লেখাপড়া করছে। সেও লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে মা রোকেয়া বেগমকে হাঁস লালন পালনে সহায়তা করে। রোকেয়া বেগমের খামারে এখন ৮০ টি পেকিন হাঁস রয়েছে। পেকিন হাাঁসের বাচ্চা বিক্রি হয় ৭০ টাকা, ডিম বিক্রি হয় ১৫ টাকা পিস ও প্রতি কেজি মাংস বিক্রি হয় ২শ টাকা। চাহিদা অনেক বেশি থাকায় খামার থেকেই ক্রেতারা এসে নিয়ে যাওয়ায় বাজারে যেতে হয়না। একেকটি হাঁসের ওজন হচ্ছে সাড়ে তিন কেজি থেকে শুরু করে ৪/৫ কেজি পর্যন্ত। প্রতিটি হাঁস বছরে ডিম দেয় ১৭০ থেকে ১৮০ টি। মাংস খেতে বেশ সুসাদু , পুষ্টিগুণাগুণ সমৃদ্ধ ও নরম হওয়ায় সব বয়সের লোকজন পেনিক হাঁসের মাংস খেতে পারেন। অন্যান্য দেশিও হাঁসের তুলনায় রোগবালাই কম আবার ২ মাসেই ওজন আসে ৩ কেজি ফলে পেকিন হাঁস পালন বেশ লাভজনক। পেকিন হাঁস পালনে রোকেয়া বেগমের সফলতা দেখে অনেকেই এগিয়ে আসছেন এ হাঁস পালনে। এসো’র তত্বাবধানে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর ও কালাই উপজেলায় ১২৮টি খামার গড়ে উঠেছে। আক্কেলপুর উপজেলার ভান্ডারিপাড়া গ্রামের জীবন নাহার, কালাই উপজেলার শাইলগুন গ্রামের রেহেনা বেগম ও ক্ষেতলাল উপজেলার নিশ্চিন্তা গ্রামের দুলাল হোসেন পেকিন হাঁস পালনে সফলতার কথা জানান।