পানকৌড়ির নিরাপদ আশ্রয়স্থল মদন
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:১২ এএম, ৫ নভেম্বর ২০২২ শনিবার
ফাইল ছবি
নেত্রকোণা মদন উপজেলা পানকৌড়ির নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি পযর্ন্ত ঝাঁকে ঝাঁকে পানকৌড়ির ওড়াউড়ি ও কল-কাকলিতে মুখরিত থাকে পুরো এলাকা। পাখিদের কর্মব্যস্ততা আর কিচির-মিচিরে আনন্দ পান প্রকৃতিপ্রেমীরা। থানার পাশেই রয়েছে খাল-বিল, মগড়া নদী ও উচিতপুরের বিশাল হাওর। বেলা বাড়ার সাথে সাথে দল বেঁধে সেখানে খাবারের সন্ধানে যায় পানকৌড়ি। কিছুক্ষণ পর আবার খাবার নিয়ে ফেরে তারা।
স্থানীয়রা জানান, ৩-৪ ধরে মদন পৌরসভার থানা সংলগ্ন অতিথি পাখির দল মেহগনি গাছে দলবেঁধে আশ্রয় নেয় হাজার হাজার পানকৌড়ি। কিন্তু সেসময় অনেকেই পাখি শিকারে মেতে ওঠে। পানকৌড়ি শিকার করে আবার বাজারে বিক্রি করতেও দেখা যায়। পরে সেখান থেকে সরে গিয়ে পাখিগুলো আশ্রয় নেয় মদন থানার সারি সারি মেহগনি গাছে। থানা চত্বরের গাছে বাসা বেঁধে পাঁচ বছর ধরে বসবাস করছে পাখিগুলো। সেখানে কেউ তাদের বিরক্ত করে না। নিরাপদ আশ্রয় পেয়ে এখানে প্রজনন শুরু করে পাখিগুলো।
স্থানীয় বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, পানি আসার সাথে সাথেই হাওর এলাকায় পানকৌড়ি আসতে শুরু করে। প্রজনন শেষে বাচ্চাগুলো বড় হওয়ার পর ভাদ্র মাসে আবার চলে যায়। কিন্তু নিরাপদ আশ্রয়স্থল মদন থানার গাছে ৩-৪ বছর ধরে হাজার হাজার পাখি বাস করছে। এমন সুন্দর দৃশ্য সহজে দেখা যায় না।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, অতিথি পাখি পানি আসলে সিলেট থেকে থানার গাছগুলোতে বাসা বেঁধেছে হাজারো পানকৌড়ি। সকাল আর সন্ধ্যায় পাখির কল-কাকলি শব্দে অন্যরকম এক আবহ তৈরি করে। স্থানীয় স্কুল- কলেজের শিক্ষার্থীরা এগুলো দেখতে আসে। পাখির মল ও খাবারের উচ্ছিষ্টের জন্য কিছুটা অসুবিধা হয়। তবু সব সময় খেয়াল রাখা হয়; যেন পাখিদের অসুবিধার কোনো কারণ না ঘটে। পাখি শিকার থেকে বিরত থাকতে ও তাদের যাতে কেউ বিরক্ত যাতে না করে।এ নিয়ে সবাইকে সচেতন করেছি।