নগ্ন ভিডিও দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে জিম্মি, এসআই গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:৫২ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০২২ বুধবার
এসআই মেহেদি হাসান
স্কুলছাত্রীর নগ্ন ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে জিম্মিকারী সাময়িকভাবে বরখাস্তে থাকা বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মেহেদি হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এক নারীর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া এসআই মেহেদি হাসানসহ থানার অপর এসআই ইব্রাহিম খলিলকে পর্যটকদের আটকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিলো।
থানা ও আদালত সূত্র জানায়, শিউলী বেগমের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হওয়া এসআই মেহেদি হাসানকে আজ বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের বিচারক শামীম আহমেদ তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, সাময়িকভাবে বরখাস্ত অবস্থায় এসআই মেহেদি হাসান নগরীর কলার মোড় সংলগ্ন মন্টু ঘোষের বাসার বাড়ির তিন তলায় ভাড়া থাকতো। মঙ্গলবার আপত্তিকর ছবি দিয়ে তাকে জিম্মি করাসহ অর্থনৈতিক সুবিধা নেওয়ায় এক নারী অভিযোগ দেয়। ঐ অভিযোগের ভিত্তিতে নারীর পাঠানো টাকা বিকাশ থেকে নেওয়ার সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসআই মেহেদিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলার বাদী নারী অভিযোগ এনেছে, নগরীর এক বাসিন্দার স্কুল পড়ুয়া কন্যার মোবাইল নাম্বারে অজ্ঞাত ব্যক্তি ফোন করে জানায়, তার একান্ত ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও রয়েছে। তখন কন্যা একাধিবার ঐ ব্যক্তির পরিচয় জানতে চায়। অজ্ঞাত ব্যক্তি নিজের পরিচয় গোপন করে ছদ্মবেশ ধারণ করে ঐ রাতে কন্যার হোয়াটস অ্যাপ নম্বরে একান্ত ব্যক্তিগত ভিডিও পাঠিয়ে দেয়। এরপর ঐ অজ্ঞাত ব্যক্তি বিভিন্ন সময় কন্যার মোবাইলে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে আরও ভিডিও ও ছবি দাবি করে। কিন্তু কন্যা দিতে রাজি না হলে গত ১১ নভেম্বর তাকে ফোন করে ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও আত্মীয় স্বজনের কাছে পাঠানোর হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কু-প্রস্তাব ও রুম ডেট করার প্রস্তাব দেয়। গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে ফোন করে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসামির দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে এক হাজার টাকা পাঠায়। পরবর্তীতে মেয়ের কাছে আরও টাকা দাবি করে।
পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, এসআই মেহেদি হাসানের বিরুদ্ধে আগে একটি বিভাগীয় মামলা রয়েছে। আরও একটি বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে।
গত ১৫ অক্টোবর মামলার অভিযোগ নিয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় আসা এক বিধবা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এসআই আবুল বাশারের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে ঐ বিধবা নারীর দায়েরকৃত মামলায় এসআই আবুল বাশারকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছিলো।