ঢাকা, সোমবার ২৫, নভেম্বর ২০২৪ ১৬:২৪:২৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

চিত্রনায়িকা শিমু হত্যাকাণ্ডে নতুন তথ্য

বিনোদন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:১৯ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

এ বছরের ১৭ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকা থেকে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর শিমুকে হত্যা করার অভিযোগে তার স্বামী শাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। তাদের আসামি করে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই শহীদুল ইসলাম খোকন।

এরপর (২০ জানুয়ারি) মামলার প্রধান দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন। এবার এই চিত্রনায়িকার হত্যাকাণ্ডের মামলায় নতুন তথ্য হচ্ছে তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বন্ধু এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকার ৪র্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হলো। সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী (২৩ জানুয়ারি) নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রনি মজুমদার বিষয়টি জানিয়েছেন।

এর আগে ২০ জানুয়ারি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতে শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও নোবেলের বাল্যবন্ধু এস এম ফরহাদকে রিমান্ড চলাকালীন হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এ সময় আসামিরা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিতে সম্মত হওয়ায়, তা রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে আসামি নোবেল এবং ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাত শুকরানার আদালতে আসামি ফরহাদ জবানবন্দি দেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

তারও আগে (১৮ জানুয়ারি) আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) চুন্নু মিয়া। শুনানি শেষে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই দিন কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নোবেল ও তার বাল্যবন্ধুর বিরুদ্ধে মামলা করেন শিমুর ভাই হারুনুর রশীদ। এ ছাড়া মামলায় বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।