আর্ত মানবতার সেবায় দেশের নারীরা আন্তরিক: স্পিকার
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৭:১২ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০২২ শনিবার
সংগৃহীত ছবি
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, আর্ত মানবতার সেবা ও সমাজ বিনির্মাণে এদেশের নারীরা সব সময়ই আন্তরিক। অসীম সাহসী নারীদের আজীবন সংগ্রামের কারণেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
আজ শনিবার জাতীয় জাদুঘরে অধ্যাপক ডা. জোহরা কাজী পরিষদ আয়োজিত স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি উপমহাদেশের প্রথম বাঙালি মুসলিম চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজী স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।
জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এবং উপ উপাচার্য মো. জাহিদ হোসেন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। এতে প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক ডা. লতিফা শামসুদ্দিন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ও অধ্যাপক ডা. জোহরা কাজী পরিষদের সভাপতি ড. মোজাম্মেল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. নাজমুল করিম মানিক।
স্পিকার বলেন, অধ্যাপক ডা. জোহরা কাজী তার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনে একাগ্রভাবে আর্ত মানবতার সেবায় কাজ করে গেছেন। তিনি (জোহরা কাজী) ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আহতদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করেছেন। ঢাকা মেডিকেলে তিনিই প্রথম নারীদের আলাদাভাবে চিকিৎসাসেবা পাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, অধ্যাপক ডা. জোহরা কাজী পরিষদের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হলে, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পরবর্তীতে সফল কর্মের মাধ্যমেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অধ্যাপক ডা. জোহরা কাজী বেঁচে থাকবেন।
ডা. জোহরা কাজীর আদর্শে চিকিৎসকরা অনুপ্রাণিত হলে মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু প্রতিরোধে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সূচকগুলো অর্জন করা সম্ভব বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
চীফ হুইপ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের সর্বস্তরে নারীরা সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। সরাসরি নির্বাচিত হয়ে এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনের মাধ্যমে নারীরা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করারও সুযোগ পাচ্ছেন।
বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য বলেন, ডা. জোহরা কাজী মা ও প্রসূতি চিকিৎসায় সারাজীবন কাজ করছেন। তাঁর অবদানের কথা স্মরণ করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মা ও প্রসূতি বিভাগের ওয়ার্ডকে অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজী নামকরণ করা হবে।
অধ্যাপক ডা. জোহরা কাজী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশের স্বনামধন্য চিকিৎসকবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিতিরা, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।