শীতকালীন সবজির যত পুষ্টিগুণ
অনলাইন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:৫৫ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ২০২২ বুধবার
ফাইল ছবি
শীত এখনো জেঁকে না বসলেও শীতের সবজির বাজার জমজমাট। এসব রঙিন সবজির দিকে তাকালেই চোখ জুড়িয়ে যায়। এ সময় বাজারে সবজি মোহনীয় রূপ পুরোটাই মেলে ধরে। স্বাদে-গন্ধে-রূপে এ সময়ের সবজির তুলনাই নেই। তাই প্রচুর শীতকালীন সবজি খান- পুষ্টি, খনিজ ও ভিটামিন নিন।
গাজর
গাজরে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’, ‘ই’ এবং আঁশ আছে। এর ক্যারোটিনয়েড চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ফ্ল্যাভনয়েড দাঁতের ক্যাভিটি দূর করে। কাঁচা গাজরের চেয়ে সেদ্ধ গাজরে পুষ্টি বেশি। গাজরের জুসের সঙ্গে মধু ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
ফুলকপি ফুলকপি ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘সি’, ‘কে’ ও ফসফরাসের উৎস। এর মধ্যে থাকা বিশেষ যৌগ যেমন- সালফেরাপেন, গ্লুকোব্রাসিমিন, গ্লুকোরাফামিন যকৃৎ সুস্থ রাখে। ফুলকপি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও অন্ত্রের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
টমেটো টমেটোর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হলো লাইকোপেন। এটি ক্যানসাররোধী। এ ছাড়া এতে প্রচুর বিটা ক্যারোটিন পাওয়া যায়। জিয়া জ্যানথিন চোখের জন্য উপকারী। টমেটো কাঁচা খাওয়াও ভালো। তবে রান্না করলে লাইকোপেন বেশি শোষিত হয়। এতে অক্সালিক অ্যাসিড ও পটাশিয়াম বেশি বলে কিডনি রোগীরা পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
বাঁধাকপি ১০০ গ্রাম বাঁধাকপিতে মেলে ২৫ ক্যালরি, ৩৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’। আরও আছে ভিটামিন ‘বি’ ও নানা ধরনের ফাইটোকেমিক্যাল। বাঁধাকপির বাহির ও ভেতরের পাতার চেয়ে মাঝামাঝি অংশের পাতায় ক্যারোটিন বেশি। এটি রক্তের প্রোথম্বিন তৈরিতে সাহায্য করে। এর সালফার উপাদান শ্বাস-প্রশ্বাসের সংক্রমণ কমায়।
ব্রকলি ব্রকলিতে প্রচুর ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম, ভিটামিন ‘সি’ ও ভিটামিন ‘কে’ আছে। ব্রকলি রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এতে অনেক ফোলেটও আছে; যা রক্তশূন্যতা দূর করে।
বিট বিটে পর্যাপ্ত আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন ‘এ’ এবং নাইট্রিক অ্যাসিড আছে। কাঁচা বিটের রস রক্ত পরিষ্কার করে ও রক্ত বাড়ায়। যকৃৎ ভালো রাখে। রক্তস্বল্পতা হলে বিট খাওয়া উচিত। তবে অক্সালিক অ্যাসিড বেশি বলে কিডনিতে পাথর থাকলে না খাওয়া ভালো।
মুলা সালফারের জন্য মুলাতে তীব্র গন্ধ। সালফার ছাড়াও আছে ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ‘এ’। এটি পিত্তরস ক্ষরণে উদ্দীপনা দেয়।
শিম ও মটরশুঁটি পিউরিনসমৃদ্ধ বলে বাতের রোগীদের হিসাব করে খাওয়া উচিত। এ দুটো প্রোটিনের ভালো উৎস। প্রচুর আঁশ আছে। যারা নিরামিষভোজী, তাদের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করবে এগুলো।