খালেদা জিয়ার দুই মামলার শুনানি ২৬ জানুয়ারি
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৮:০১ পিএম, ৩ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার
ফাইল ছবি
‘ভুয়া’ জন্মদিন পালন ও মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগে মানহানির পৃথক দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়ে আগামী ২৬ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুরের আদালত এ আদেশ দেন।
এ দিন অসুস্থতার কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন আদালতে উপস্থিত হতে না পারায়, তার পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য নতুন দিন নির্ধারণ করেন।
২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালের ১৯ ও ২২ আগস্ট দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়, খালেদা জিয়ার মেট্রিক পরীক্ষার নম্বরপত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। ১৯৯১ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন উল্লেখ করা হয় ১৯ আগস্ট ১৯৪৫ সাল। তার বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন ৪ আগস্ট ১৯৪৪ সাল। সর্বশেষ ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী তার জন্মদিন ৫ আগস্ট ১৯৪৬ সাল উল্লেখ করা হয়।
মামলায় বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি। কিন্তু ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীর জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন উদযাপন করে আসছেন। শুধু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য তিনি ওইদিন জন্মদিন উদযাপন করছেন বলে মামলায় বলা হয়।
অন্যদিকে, যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গে জোট করা এবং নির্বাচিত হয়ে তাদের মন্ত্রীসহ নানা দায়িত্ব দেওয়ায় মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।
পরে তদন্ত কর্মকর্তা এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মৃত বলে জিয়াউর রহমানকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মামলায় বলা হয়, যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দিয়ে ও তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করেছে খালেদা জিয়া।