শীতে গুড়ের উপকারিতা
অনলাইন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:০১ পিএম, ৬ জানুয়ারি ২০২৩ শুক্রবার
ফাইল ছবি
গুড় বাংলাদেশের একটি প্রসিদ্ধ খাবারের আইটেম। বাংলাদেশে কয়েক ধরনের গুড় আমরা সচরাচর দেখে থাকি। তার ভিতর উল্লেখযোগ্য হলো খেজুরের গুড়, আখের গুড় এবং তালের গুড়। এছাড়া বাংলাদেশের বাগেরহাটের সুন্দরবন এলাকার গোলপাতার গুড়ও পাওয়া যায়।
প্রকৃতিতে বইছে শীতের আমেজ। এই শীতের মৌসুমে সবচেয়ে বেশি নামডাক খেজুরের গুড়ের। খেজুরের গুড় বাংলাদেশের ভেতর সবচেয়ে বেশি প্রসিদ্ধ। ভোরবেলা থেকে শীত গাছিদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। সকালে খেজুরের রসের ভাড় নামিয়ে আনে গাছিরা। তারপর শুরু হয় গুড় প্রস্ততের কর্মযজ্ঞ।
খেজুরের রস জ্বালিয়ে একসময় তৈরি হয় মিষ্টি সুস্বাদু গুড়। মিষ্টি এই গুড়ের আছে অনেক গুণাগুণ। যা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। গুড় যেহেতু প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয় তার এর উপকারিতা বেশি। আসুন জেনে নিই এই গুড়ের উপকারিতা।
চিনিরি বিকল্প হিসেবে গুড়ের জুড়িমেলা ভার। এই গুড় আমাদের শরীররে জন্য খুবই উপকারি। গরমে যেমন শসা ও তরমুজ আমাদের শরীরকে শীতল করে। বিপরীত ভাবে গুড় আমাদের শরীরকে করে তোলে উষ্ণ। পুষ্টিবিদরা চিনির বদলে গুড় খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
উপকারিতাঃ
১. শীতে গুড় খাওয়া শরীরের জন্য বিশেষ ভাবে উপকারী। গুড় আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
২. শীতে গুড় অতিরিক্ত তাপ উৎপাদন করে শরীরের তাপমাত্রার ভারসম্য ঠিক রাখে। এতে আছে উচ্চ মানের ক্যালোরিফিক, যা শরীর উষ্ণ রাখে এবং শক্তি যোগায়।
৩. সর্দি-কাশি ও সাধারণ ঠাণ্ডার কারণে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখে গুড়। ক্ষতিকর অনুজীব বৃদ্ধি হ্রাস করতে সাহায্য করে।
৫. গুড়ের বিশেষ উপাদান লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, সেলেনিয়াম এবং পটাশিয়াম। যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও রোগের সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে।
৬. কফ, গলাব্যথা, ফোলা বা খুসখুস করা দূর করতে সাহায্য করে গুড় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ ছাড়া শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা যেমন-কফ, বা বুকে কফ জমাট বাঁধা, রক্ত প্রবাহে সমস্যা ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে।
৭. গুড় রক্ত পরিষ্কার করে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়।
৮. গুড় শরীর থেকে অবাঞ্ছিত উপাদান দূর করে পাকস্থলী, অন্ত্র, ফুসফুস ও খাদ্যনালি সুস্থ রাখে।