শীতের মধ্যেও লোডশেডিংয়ে দুর্ভোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৯:৪৩ পিএম, ৯ জানুয়ারি ২০২৩ সোমবার
ফাইল ছবি
দেশে চলমান বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে শীতের মধ্যে কোনো সুখবর নেই। শীতের সময় লোডশেডিং কমার কথা বলেছিলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তবে শীতের মাঝামাঝি হলেও লোডশেডিং কমার কোন আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান তথা শিল্প-কারখানাগুলোকে ভোগাচ্ছে লোডশেডিং।
খোদ রাজধানীতে এলাকাভেদে দিনে রাতে সাত থেকে আটবার বিদ্যুতের লোডশেডিং করা হচ্ছে। সকাল থেকে গভীর রাত এমনকি শেষ রাতেও বাদ যাচ্ছে না এ লোডশেডিং।
এদিকে, গ্যাসের যোগান কম থাকায় গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উৎপাদনও কমে গেছে। শিল্পকারখানায় গ্যাস সরবরাহ করতে গিয়ে সংকটে পড়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো।
জ্বালানি তেল সাশ্রয়ে কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রেখে তালিকা করে লোডশেডিং দিচ্ছিলো সরকার। কিন্তু সেই তালিকায় নির্ধারিত সময়ের বাইরেও লোডশেডিং দেখা দিচ্ছে। এতে কম বেশি সকল স্তরের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
শিল্প কারখানা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অনেক কারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। উৎপাদন সচল রাখতে ডিজেলচালিত জেনারেটর ব্যবহার করছেন। কিন্তু ডিজেলের দাম বাড়ায় পণ্য তৈরিতে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হচ্ছে। সে তুলনায় পণ্যের দাম না পাওয়ায় কারখানা সচল রাখা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না অনেকের।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংকটের কারণ হিসেবে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কথা বলা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে ডলারের সঙ্কটের কারণে জ্বালানি কেনা যাচ্ছে না। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে সব সময়ই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ে কমে। বাড়ে কমে ডলারের দামও। চলমান বিদ্যুৎ সঙ্কট এসব কারণে যতটুকু না হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি এর কারণ হলো সরকারের ভুলনীতি।
অন্যদিকে, নভেম্বরের মাঝামাঝিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছিলেন, শীতের সময় চাহিদা কমে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। শীত এলে চাহিদা কমে লোডশেডিং ঠিক হয়ে যাবে। বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আমরা সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুৎতায়ন করেছি।